সুপার ওভারে জিতে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজটা হাত ফসকে গিয়েছিল আগেই। শেষ ম্যাচটা জিতে শ্রীলঙ্কার সামনে সুযোগ ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। তবে জেতা ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে তাদের। সুপার ওভারে হেরেছে দলটা। ফলে লঙ্কানরা ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের কাছে।
পাল্লেকেলেতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ১৪ রানে খুইয়ে বসেছিল ৩ উইকেট। এরপর অর্ধেক ইনিংস নেই হয়ে গিয়েছিল ৪৮ রানে। সেখান থেকে দলের রান ভদ্রস্থ হয়েছে শুভমান গিলের ৩৯ রানে ভর করে। শেষ দিকে রিয়ান পরাগের ১৮ বলে ২৬ আর ওয়াশিংটন সুন্দরের ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত পায় ১৩৭ রানের পুঁজি।
দুই কুশলের ব্যাটে চড়ে রানটাকে মামুলিই মনে করাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। ২৬ রান করে পাথুম নিসাঙ্কার বিদায়ের পর দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫২ রান। ১৬তম ওভারে দলের রান তখন ১১০, জয়টাকে লঙ্কানদের হাতের খুব কাছেই মনে হচ্ছিল তখন। ঠিক তখন কুশল মেন্ডিস বিদায় নিলেন ৪১ বলে ৪৩ রান করে। এরপর সুন্দরের করা ১৭তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা আর চারিথ আসালঙ্কা বিদায় নিলে শঙ্কায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর খলিল আহমেদের করা ১৮তম ওভারে ১২ রান শ্রীলঙ্কাকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল। তবে পরের ওভারে কুশল পেরেরা আর রমেশ মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন রিংকু সিং, সে ওভার থেকে আসে ৩ রান।
শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন ছিল লঙ্কানদের। ঠিক সে সময় ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুয়াটা খেলেন অধিনায়ক সূর্য। আক্রমণে এলেন নিজেই। শুধু কি তাই, দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকেরও। তবে শেষ পর্যন্ত তা হলো না, এরপর আবার পরের তিন বলে ৫ রান তুলেও ফেলে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটা গড়ায় সুপার ওভারে।
মোমেন্টাম খুইয়ে বসা শ্রীলঙ্কাকে সেখানে চড়ে বসতে দেননি ওয়াশিংটন সুন্দর। কুশল পেরেরা আর পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়েছেন, তাও মাত্র ২ রান খরচায়। সে রানটা তুলতে ভারতের কোনো সমস্যাই হয়নি। ফলে সূর্যকুমারের দল শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে তবেই মাঠ ছাড়ে।