‘নিরাপত্তা’ ছাড়াই শুটিংয়ে রূপা জয়, রাতারাতি তারকা তুরস্কের ইউসুফ
ধরুন আপনি কাঠের বলে ক্রিকেটে ব্যাট করতে নামছেন। একটা বলই খেলবেন। তবে তা আপনাকে খেলতে হবে কোনো প্রকার প্যাড, গ্লাভস, হেলমেট ছাড়া। পারবেন?
প্রায় কাছাকাছি পরিস্থিতিতেই পড়েছিলেন তুরস্কের ইউসুফ দিকেচ। শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে তিনি লড়েছেন বিশেষায়িত ‘প্রোটেক্টিভ গিয়ার’ ছাড়া।
শুটিংয়ে কাজটা মোটেও সহজ কিছু নয়। তীব্র শব্দ থেকে রক্ষা পেতে নয়েজ ক্যান্সেলেশন ইয়ার প্রটেক্টর ব্যবহার করেন শ্যুটাররা। সঙ্গে পরিষ্কার দেখার জন্য বিশেষায়িত গ্লাসও পরে থাকেন।
সেখানে ইউসুফ লড়েছেন কোনো প্রকার প্রটেক্টর ছাড়াই। শুধু কি তাই! তিনি রীতিমতো পদকও এনে দিয়েছেন দেশকে।
৫১ বছর বয়সী এই শুটার তার সঙ্গী সেভাল ইয়াদা তারহানকে সঙ্গে নিয়ে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে রূপা জিতেছেন। তিনি যখন লড়েছেন, একেবারে খালি অবশ্য তার চোখ-কান ছিল না। তার চোখে ছিল সাধারণ প্রেসকিপশন গ্লাস আর ইয়ারপ্লাগ যা আপনি আশেপাশের মার্কেটে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
তিনি যখন লড়ছিলেন, আরও একটা বিষয় ছিল লক্ষ্যনীয়। হাত পকেটে, চেহারাও ছিল একেবারে স্বাভাবিক। এ বিষয়টিও চোখ এড়ায়নি নেটিজেনদের। যার ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে গেছেন ইউসুফ।
পরিচিতিটা আরও ভালোভাবেই পেতে পারতেন তিনি। তার দেশকে যদি তিনি সোনা জেতাতে পারতেন। সোনা জেতার ম্যাচে তা হতে হতেও হয়নি শেষমেশ।
ইউসুফ আর সেভাল মিলে সার্বিয়ার বিপক্ষে এক সময় ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই সার্বিয়ার জোরানা আরুনোভিচ আর দামির মিলেক ম্যাচে ফিরে আসে দারুণভাবে। শেষমেশ ১৬-১৪ ব্যবধানে ম্যাচটা জিতে নেয় দলটা। আর তাই রূপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইউসুফ আর সেভালকে।