‘গর্ব’ নিয়েই টেনিসকে বিদায় বললেন মারে 

  • স্পোর্টস বাংলা ডেস্ক
  • ০৫:০৮ পিএম | ০২ আগস্ট, ২০২৪

টেনিসে একসময় ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা। জিতেছেন তিন গ্র্যান্ড স্ল্যামও। ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৬টি শিরোপা জিতেছেন। যার মধ্যে সম্ভাব্য সবচেয়ে স্মরণীয়টি ছিল ২০১৩ সালে উইম্বলডনে। কেননা নোভাক জকোভিচের হারিয়ে ব্রিটিশদের ৭৭ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়েছিলেন মারে। এবার চলমান প্যারিস অলিম্পিক দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা বিদায় বলে দিলেন টেনিস। 

বিদায়বেলায় নিজেকে নিয়ে কিছুটা গর্ব করেই গেলেন মারে। একসময় রজার ফেদারার, নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদালের সঙ্গে তার নাম জুড়ে টেনিসের বিগ ফোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন তারা। সেখানে ফেদারার বিদায় নিয়েছেন সবার আগে। জোকোভিচ, নাদালও সেই পথেই। 

তবে তাদের আগেই বিদায় জানিয়ে মারে বলেন, ‘নিজের ক্যারিয়ার, অর্জন ও এই খেলায় যতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। অবশ্যই এটা আবেগের। কারণ, এটাই আমার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। তবে এখন আমি সত্যিই খুশি। যেভাবে শেষ হলো, তাতে আমি খুশি। এটা ভালো লাগছে যে অলিম্পিকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি। কারণ, (চোটের কারণে) গত কয়েক বছরে এর কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।’ 

প্যারিস অলিম্পিক দিয়েই টেনিস থেকে অবসরে যাবেন মারে, এটি আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। চোটের কারণে অলিম্পিকের একক ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করলেও খেলেন দ্বৈত ইভেন্টে। সেখানে ছেলেদের কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬-২, ৬-৪ গেলে হারে টিম গ্রেট ব্রিটেন। সেখানে মারের সঙ্গে খেলেন ড্যান ইভানন। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের দলে খেলেন টেলর ফ্রিৎজ ও টমি পল। 

মারের বিদায় ঘণ্টা বাজতে পারতো আরও আগেই। সবশেষ কয়েক বছরে একের পর চোটে পড়তে থাকেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে খেলছেন কোমরে মেটাল হিপ নিয়ে। তা ছাপিয়ে চলতি বছরের শুরুতে চোট পান অ্যাঙ্কেলেও। তবুও খেলার প্রতি তার আবেদন ছিল গগনচুম্বী। যেন নিজের আবেগের বস্তুকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন বৈশ্বিক কোনো মঞ্চেই। 

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :