‘বাজবল’ শব্দটি যুক্ত হলো অভিধানে
ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের হেড কোচ এখন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে নিজের নৈপুণ্য দেখানো সাবেক এই কিউই খেলোয়াড় ইংল্যান্ড জাতীয় টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর থেকে ইংলিশদের টেস্ট খেলার ধরণই যেন বদলে দিয়েছেন।
এই কিউই কোচের ডাকনাম ‘বাজ’ থেকেই ‘বাজবল’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কলিন্সের অনলাইন অভিধানে এই বিশেষ্যটির সংজ্ঞা দিয়ে শব্দটিকে অভিধানে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ হিসেবে বলা হয়– ‘ক্রিকেট খেলার এমন একটি কৌশল যেখানে ব্যাটিং দল অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভাবে খেলে।’ কলিন্স ইংরেজি অভিধানের পরবর্তী মুদ্রণে এই শব্দটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের জুনে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ইএসপিএনক্রিকইনফোর যুক্তরাজ্য সম্পাদক অ্যান্ড্রু মিলার এই ‘বাজবল’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। ‘সুইচ হিট’ নামক একটি পডকাস্টের কোনো একটি পর্বে তিনি শব্দটি ব্যবহার করেন। এই শব্দটির মাধ্যমে তিনি মূলত বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ম্যাককালামের দল (নিউজিল্যান্ড) কীভাবে তার অধিনায়কত্বে বেশ ভালোভাবেই খেলা প্রদর্শন করেছিল। এবং তার অধীনে ইংল্যান্ড দল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছিল।
টেস্ট খেলা বলতে বিশ্ব যেরকম রয়েসয়ে খেলা ক্রিকেটকেই এতদিন চিনতো, এখন সেই রুপের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে ম্যাককালাম ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর সাদা পোশাকেও আক্রমণাত্বক ক্রিকেট দেখছে বিশ্ব। যদিও টেস্ট খেলার এইরকম কৌশল নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের মতে, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে এটাই সঠিক কৌশল। আবার আরেক দল বলে, এই ‘বাজবল’ টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্বংস করে টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। টেস্ট ক্রিকেটও যদি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির মতো করে খেলা হয় তাহলে খেলার মাধুর্য ব্যহত হয়।