রোমাঞ্চের ফাইনালে জকোভিচের ‘ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্লাম’

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ১০:৪০ এএম | ০৫ আগস্ট, ২০২৪

টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ফাইনালটাই কি দেখে ফেলল অলিম্পিক?
না তা হবে কেন? সেটা তো ২০১২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নামে লেখা, তাও আবার ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের ম্যারাথন এক ফাইনাল। তার সঙ্গে গতকাল ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের এই ফাইনালের তুলনা কেন?
কারণ আছে, কারণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ওই ফাইনাল হয়েছিল ৫ সেটে, আর অলিম্পিকের এই ফাইনাল ২ সেটে। হিসেবমতো ৫ সেট হলে এই ফাইনাল শেষ হওয়ার কথা ৭ ঘণ্টা ৫ মিনিটে। গড় হিসেবে হলেও তো ফাইনালটাকে দীর্ঘতম বলাই যায়, নাকি?
তবে সে হোক না হোক, অলিম্পিকের ফাইনাল গত রাতে এক গাদা রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে গেছে। টেনিসের বর্তমান নোভাক জকোভিচ আর ভবিষ্যৎ ধরা হয় যাকে, সে কার্লোস আলকারাজ মুখোমুখি হয়েছিলেন ফাইনালে। দুজনের তকমাটা দেখুন, ফাইনালটা তো এমনই হওয়ার কথা ছিল! সে লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন জকোভিচ। 
তবে ম্যাচে প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য লড়াই করতে হয়েছে দুজনকেই। দুটো সেটের খেলায় কেউই কারো সার্ভিস ব্রেক করতে পারেননি, তাহলে বুঝুন কী নিখুঁতই না ছিলেন দুজনে!
ম্যাচের আগে নোভাক জকোভিচ এগিয়ে ছিলেন একটু। সেটা অভিজ্ঞতায়। ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, পেছনে আছে আরও ৪ টি অলিম্পিক খেলার অভিজ্ঞতা। সে অভিজ্ঞতার কাছেই যেন হার মানতে হলো কার্লোস আলকারাজকে। জকোভিচ সোনাটা গলায় ঝুলিয়েছেন ফাইনালে ৭-৬ (৭/৩), ৭-৬ (৭/২) গেমে জিতে।
তাতে একটা আক্ষেপও ঘুচে গেল জকোভিচের। ‘ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্ল্যাম’ বা চারটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের সঙ্গে একটি অলিম্পিক সোনা যোগ করার ইতিহাস টেনিসে মাত্র ৪ খেলোয়াড়ের ছিল। এ এমন এক কীর্তি যা রজার ফেদেরারের মতো কিংবদন্তিরও নেই। ছিল রাফায়েল নাদাল, আন্দ্রে আগাসি, স্টেফি গ্রাফ ও সেরেনা উইলিয়ামসের।
সে তালিকায় গত রাতে যুক্ত হলো আরও এক নাম। নামটা নোভাক জকোভিচের। ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম আগেই আছে তার নামের পাশে। এবার একটা অলিম্পিক সোনার আক্ষেপও ঘুচে গেল। জকোভিচকে কি এবার অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে টেনিসের ‘এযাবতকালের সেরা’ বলে দেওয়া যায়?

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :