‘হারানোর’ দিনে মুখে হাসি সাকিবের

‘হারানোর’ দিনে মুখে হাসি সাকিবের

শেষ এক বছরে সাকিব আল হাসান যা ছুঁয়েছেন তাই যেন মাটি হয়ে গেছে রীতিমতো। তার অধীনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শেষ দেড় দশকের সবচেয়ে বিস্মরণযোগ্য বিশ্বকাপটা খেলেছে, নিজের ফর্ম পড়তির দিকে, ভুগছেন শারীরিক সমস্যায়… গেল বছর নিজ জেলায় সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সে আসনটাও হারাতে বসেছেন সাকিব। 

সরকার পতনের দিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পুড়েছেন প্রতিপক্ষের আক্রোশের আগুনে। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়িতেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সাকিব আল হাসানের পার্টি অফিসেও একই কাজ করেছে দুষ্কৃতকারীরা।

তবে এত কিছু যখন হয়ে গেছে, তার ঠিক পরে বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার খেলছিলেন কয়েক হাজার মাইল দূরে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে। কানাডায় চলমান এই টুর্নামেন্টে গতকাল সাকিবের বাংলা টাইগার্স মিসিসাগা মুখোমুখি হয়েছিল সারে জাগুয়ার্সের।

সে ম্যাচে সাকিব বল হাতে নিয়েছেন একটি উইকেট। সতীর্থ শরিফুল ইসলামও পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তবে কারটিস ক্যামফারের ৪ উইকেটে ভর করে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১০৮ রানে সারেকে বেধে রাখে সাকিবের দল।
এই রান তাড়ায় অবশ্য বাংলা টাইগার্সকে বেগ পেতে হয়েছে বেশ। কারণ উইকেটটা সহজ ছিল না মোটেও। চারে নেমে সাকিব খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। তাতেই রান তাড়া করাটা সহজ হয়ে যায় তার দলের। তার দল জেতে ২ উইকেটে। 

ব্যাটে বলে দলের জয়ে বড় অবদানই রেখেছেন সাকিব। তার কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও ওঠে সাকিবেরই হাতে। 

সম্পর্কিত খবর