মেসির স্পেনের বাড়িতে হামলা
জীবনের বেশিরভাগটা লিওনেল মেসি কাটিয়েছেন স্পেনেই। বার্সেলোনায় খেলার কারণ সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। স্পেনের ইবিজায় মেসির একটি বাড়ি আছে যার নাম ‘ইবিজা ম্যানশন’। সেই বাড়িতে হামলা চালালো কতিপয় আন্দোলনকারী।
স্পেনে পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকারীরা মেসির সেই বাড়িটিকে ‘পরিবেশ দূষণের কারণ’ বলে দাবি তুলেছেন। এই দাবির সূত্র ধরে ১১ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের বাড়িটিতে ঢুকে সব দেয়ালে তারা রঙ দিয়ে স্লোগান লিখে দেয়।
এই আন্দোলনকারীদের সংগঠনের নাম ‘ফিউচারো ভেজেটাল’। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য হাফিংটন পোস্টের তথ্যমতে, আন্দোলনকারীরা চলতি সপ্তাহের শুরুতে মেসির ‘ইবিজা ম্যানশন’ নামক বাড়িটিতে হামলা করে এবং ভাংচুর চালায়। বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে ভরিয়ে দেয় বাড়িটির দেয়াল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানায়, ২০২২ সালে মেসি স্যান জোসেফের এই সম্পত্তিটি কেনেন। সেখানে স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জো এবং তিন ছেলেকে নিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়েই সেখানে পরিদর্শনে যান মেসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, আন্দোলনকারী সংগঠনের দুই সদস্য একটি ব্যানার নিয়ে সেই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই ব্যানারে লেখা- ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’
তাদের মতে মেসির এই বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে রঙ মাখিয়েছি। সাবেক এই বার্সা তারকার ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি মূল্যের বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে শহরে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, শহরের ধনীরাই কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। আর এটি সম্ভব হয়েছে সরকারী কর্তৃপক্ষ ইকোনমিক-সোশ্যাল সিস্টেমের কারণে, যেহেতু তারা ধনী ব্যক্তিদের সমর্থন দিচ্ছে। এটা প্রাণের জন্য হুমকিস্বরূপ। সংগঠনটি মূলত সামাজিক এই অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা জলবায়ুর সঙ্কট মোকাবিলায় বড় পরিবর্তন আনতে চান।
নিজের বাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বর্তমানে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির আসন্ন ম্যাচগুলো নিয়েই ভাবছেন মেসি।