মুম্বাইয়ে ফিরল কলম্বো, লঙ্কাকে ডুবিয়ে শেষ চারে ভারত
এশিয়া কাপ ফাইনালে লঙ্কানদের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ৫০ দিনও পেরোয়নি। তার আগেই আরও একবার দুই অঙ্কে অলআউটের লজ্জায় পড়ল শ্রীলঙ্কা। তাও ওই ভারতের বিপক্ষেই! সে ফাইনালে না হয় ১০ উইকেটে হেরেছিল। তবে আজ নিজেদের সিদ্ধান্তের কারণেই ব্যবধানটা আরও বাড়ল, ভারতের কাছে ৩০২ রানে হেরেছে লঙ্কানরা। আর এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল রোহিত শর্মার ভারত।
ম্যাচে প্রথম 'জয়'টা শ্রীলঙ্কাই পেয়েছিল, টসে। নিয়েছিল শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। রোহিত শর্মার উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে কিছুটা আশাও দেখছিল বৈকি! তবে এরপর বিরাট কোহলির ৮৮, শুভমান গিলের ৯২ আর শ্রেয়াশ আইয়ারের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত পায় ৩৫৭ রানের বিশাল এক পুঁজি।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটিংটা নেহাৎ খারাপ হচ্ছিল না লঙ্কানদের। শুরুর দুই ম্যাচে দুই বার তিনশ পেরিয়েছে, সে দুই ম্যাচ শেষে মনে হচ্ছিল লঙ্কানরা বুঝি সে ট্রমা পেছনেই ফেলে এসেছে। তবে যেই না শ্রীলঙ্কা সেই ভারতের সামনে পড়ল, কলম্বোর সেই বিকেলের কথা যেন মনে পড়ে গেল। সে বিকেলে এক মোহাম্মদ সিরাজই তো ধসিয়ে দিয়েছিলেন লঙ্কানদের!
আজ দলটা ধসে গেল কার আঘাতে জানেন? সেই মোহাম্মদ সিরাজের। তিনিই আজ শুরু করলেন ধসটা। কোনো রান দেওয়ার আগেই তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কানদের তিন তিনটি উইকেট। তার আগে পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে বুমরাহ শুরু করে গিয়েছিলেন ধ্বংসযজ্ঞটা।
এই পার্টিতে শামি যোগ দিয়েছেন এরপর। তার এই যোগ দেওয়া অনেকটা বিশ্বকাপের দলে তার আসার মতোই। চার ম্যাচ পরে দলে ঢুকেছিলেন, এদিন ঢুকলেন একেবারে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে। এরপর যখন দুসান হেমন্তকে ফেরালেন পরের বলে, লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে রান উঠেছে মোটে ১৪টা, ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেছেন ৬ জন। সেখান থেকে সর্বোচ্চ রানে হার আর সর্বনিম্ন রানে অলআউটের কীর্তি চোখরাঙানি দিচ্ছিল লঙ্কানদের।
তবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১২ আর কিছু পরে মাহিশ থিকসানা-কাসুন রাজিথার ২০ রানের জুটিতে সে চোখরাঙানি এড়ায় শ্রীলঙ্কা। তবে তাতে দুই অঙ্কে অলআউট হওয়াটা এড়াতে পারেনি দল। ৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে। ম্যাচ হেরেছে ৩০২ রানে।