এই মুহূর্তে আসালাঙ্কা একজন ‘সুখী অধিনায়ক’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার সূত্র ধরে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পরে ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে এই ফরম্যাটে চারিত আসালাঙ্কার হাতে নেতৃত্ব থামায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। তবে তিন ম্যাচের সেই সিরিজে সূর্যকুমার-গিলদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় লঙ্কানরা। এতেই আলোচনা উঠেছিল শুরুর আগেই কি তবে শেষ আসালাঙ্কার নেতৃত্বের অধ্যায়?
পরে ওয়ানডে সিরিজে সেই আসালাঙ্কার নেতৃত্বেই দারুণ করে করে দেখাল স্বাগতিকরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ টাই হবার পর বাকি দুই ম্যাচেই জিতল তারা। এতেই ২৭ বছরের পরে ভারতের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জয়ের স্বাদ পেল লঙ্কানরা। তাই তো আসালাঙ্কা দাবী করলেন তিনি এখন একজন সুখী অধিনায়ক।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল দুটি সমান ২৩০ রান করলে ম্যাচ হয় টাই। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানরা জেতে ৩২ রানে। এবং গতকালের সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তো ভারত পাত্তাই পেল না ভেল্লালাগের স্পিন ঘূর্ণির সামনে। তার ফাইফারে ভারত গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানেই। সেখানে ১১০ রান বিশাল জয়ের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
দারুণ এক মুহূর্ত নিয়ে ম্যাচশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসালাঙ্কা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি একজন সুখী অধিনায়ক। আমি মনে করে দলটি পুরো সিরিজে সম্ভাব্য সবকিছুই ভালো করেছে। আমরা জানতাম তাদের (ভারত) ব্যাটিং লাইন-আপ খুবই শক্তিশালী। তবে আমরা শুধু আমাদের শক্তিতেই নির্ভর থাকতে চেয়েছিলাম, স্পিন আক্রমণে।’
এই স্পিন আক্রমণেই মূলত হেরেছে ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচে ফাইফার তোলাসহ পুরো সিরিজে ৭ উইকেট নেন ভেলাল্লাগে। এদিকে হাসারাঙ্গা চোটে ছিটকে গেলে দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে সুযোগ পান জেফারি ভ্যান্ডারসে। এবং এই ৩৪ বছর বয়সী লেগ স্পিনার সেই ম্যাচে একাই নেন ৬ উইকেট। তবে বল হাতে আসালাঙ্কার অবদানটাও ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সিরিজের সবশেষ ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও আগেই দুই ম্যাচের তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন এই অফ-ব্রেক স্পিনার। এমনকি প্রথম ম্যাচে টাইটাও হয়েছিল তার স্পিন জাদুতেই।