পাকিস্তান সিরিজে ‘ব্রেক’ পাচ্ছেন সাকিব!
পাকিস্তান সফরে সাকিব আল হাসানকে কি পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? এই প্রশ্নের পরিস্কার কোনো উত্তর নেই।
দল গঠন প্রক্রিয়া এবং এর কার্যাবলির সঙ্গে জড়িত বিসিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্তদের কেউ এই প্রসঙ্গে ইতিবাচক কোনো উত্তর দেননি। বিসিবি শুধু পরিস্কার করে যা জানিয়েছে তাহলো সাকিব ১২ আগস্ট পর্যন্ত অন্যত্র ক্রিকেট খেলার জন্য এনওসি পেয়েছেন। তারপর তিনি বিসিবিতে রিপোর্ট করবেন।
তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততা, তার মানসিক অবস্থা, নিরাপত্তা পরিস্থিতি সবকিছু বিবেচনায় নিলে এটা পরিস্কার যে এই মূর্হুতে তার ক্রিকেট খেলার চেয়ে বিশ্রাম বা ব্রেকটা বেশি প্রয়োজন।
সাকিব কি নিজেও এমন কিছু চেয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির এক পরিচালক স্পোর্টস বাংলাকে বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমার তো মনে হয় সাকিবের এখন আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলার চেয়ে ব্রেকটা বেশি প্রয়োজন।’
মাঠে এখন এই মূর্হুতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে সাকিব যাতে না পড়েন সেই চিন্তা থেকে বিসিবির এই পরিচালক জানান, ‘দেখুন কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলার সময় সাকিবকে দর্শক গ্যালারি থেকে আজেবাজে কথাবার্তা শুনতে হয়েছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের সরকার পতনের বিষয়টি পুরো বিশ্বের আলোচিত খবর। সাকিব নিজেও ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সরকারের অংশ ছিলেন। তিনি সেই সরকারের এমপি ছিলেন। এখন মাঠে বা মাঠের বাইরের সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে হয়তো বা এই সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনতে হতে পারে। সেটা নিশ্চয়ই তার জন্য বা বাংলাদেশের জন্য সুখকর কোনো বিষয় হবে না। চারদিকের এমন জটিল পরিস্থিতিতে তার পক্ষে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এখন ফোকাস ঠিক রাখাও অনেক কঠিন বিষয় হবে।’
এই জটিলতা এড়াতে বরং সাকিবের এখন ক্রিকেট খেলার চেয়ে পরিবারের সঙ্গে বিশ্রামে থাকাটাই হবেই বেশি কার্যকর হতে পারে। সাকিবের পরিবার আমেরিকায় থাকে। কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলা শেষ করে সাকিব খুব সম্ভবত সেখানেই এখন সময় কাটাবেন। আর ঠিক তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে থাকবে।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুটি টেস্ট খেলবে রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে। সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে ২১ আগস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ আগস্ট। এই সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরও এগিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবির সূত্র। আগে এই সফরে বাংলাদেশ দলের যাওয়ার কথা ছিল ১৭ আগস্ট। সেই সূচি কয়েকদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।