বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা ছাড়েনি বিসিবি
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চোখ ছিল আইসিসির। চলতি বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যে হওয়ার কথা বাংলাদেশেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্রিকইনফো জানাচ্ছিল, বিকল্প আয়োজকের কথাও ভাবছে আইসিসি।
তবে বিসিবি এখনও আশা ছাড়েনি। এখনও বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ত্ব ধরে রাখার চেষ্টায় আছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রতিষ্ঠান। ভিন্ন ভিন্ন গণমাধ্যমকে এই কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, নারী বিভাগের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার সুমন ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
বিসিবির আশার পালে হাওয়া দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার অধীনে সরকারের সদস্যরাও শপথ নেন। যার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাচ্ছে উন্নতির দিকে। তাই আশাও বাড়ছে বিসিবির।
নিজামউদ্দিন চৌধুরীর ভাষ্য, ‘বিষয়টা সম্পূর্ণ দেশের অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। আমরা আশা করছিলাম যে যখনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসবে, তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন সেভাবেই হয়তো এগোচ্ছে। সেটা হলে তো বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়।’
হাবিবুল জানিয়েছেন, তিনি আশায় আছেন বিশ্বকাপ আয়োজনের। তার কথা, ‘আমি এখনও আশাবাদী, দেখা যাক আইসিসি কী করে। এটা এখন আইসিসির সিদ্ধান্ত, আমাদের তো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আইসিসি সিদ্ধান্ত নেবে তারা করবে কি করবে না। আমি এখনও আশাবাদী বিশ্বকাপটা বাংলাদেশেই হবে। সেই আশা নিয়ে আমরা বসে আছি।’
আইসিসিও সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে চলতি সপ্তাহেই। হাবিবুল বললেন, ‘বিশ্বকাপ পেছানোর কোনো উপায় নেই। ঠিক সময়েই হবে। বাংলাদেশে না হলে অন্য কোথাও হবে। কিন্তু বিশ্বকাপ ঠিক সময়েই হবে। এখন আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি আইসিসির, আমি যতটুক জানি বা বুঝি। আইসিসির একটা মনিটরিং টিম আছে, ওরা সবার সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে, ওরা ওদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। মনে হয় না ওরা খুব বেশি দেরি করবে, এই সপ্তাহেই জানিয়ে দেবে।’
বিশ্বকাপ আয়োজনের আশায় থাকলেও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ জানিয়ে দিলেন নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা। বললেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’
সব কিছু বিবেচনা করছে আইসিসি। তারপর কী সিদ্ধান্ত আসে তা নিয়েই এখন যত আগ্রহ।
