‘আফগান নারীদের মুক্তির’ দাবি তুলে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ হলেন প্রতিযোগী

‘আফগান নারীদের মুক্তির’ দাবি তুলে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ হলেন প্রতিযোগী

শরণার্থী দলের সদস্য হয়ে প্যারিস অলিম্পিকে পা রেখেছিলেন আফগান বি-গার্ল মানিজা তালাশ। তবে শুক্রবার তিনি প্রাক-বাছাইপর্বে তিনি আফগান নারীদের মুক্তির দাবি তোলেন। এরপরই তাকে নিষিদ্ধ করা হয় অলিম্পিক থেকে। 

মানিজা তালাশ আফগানিস্তান ছেড়ে এখন থাকেন স্পেনে। সেখানেই ব্রেক ড্যান্সে হাতেখড়ি তার। এবারের অলিম্পিকে ব্রেক ড্যান্স ইভেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তিনি শরণার্থী দলের হয়ে এসেছেন প্যারিসে। 

গত রাতে তালাশ মুখোমুখি হন ডাচ ব্রেক ড্যান্সার ইন্ডিয়া সার্জোর। সে ম্যাচে তিন একটি হালকা নীল রঙের কেপ পরেছিলেন। তার পেছনে যা লেখা ছিল, অলিম্পিক কমিটির চোখে পড়েছে সেটা। সেখানে লেখা ছিল, ‘আফগান নারীদের মুক্ত করে দাও’।

অলিম্পিকের নিয়মানুসারে রাজনৈতিক কোনো স্লোগান কিংবা বিবৃতি খেলার মাঠে বা পোডিয়ামে দেওয়া যাবে না। তালাশ তাই করেছিলেন। যার ফলে তাকে নিষিদ্ধ করে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। 

প্যারিস গেমস হল তৃতীয় অলিম্পিক যেখানে শরণার্থীদের একটি দল অংশ নিচ্ছে। ৩৭ জন ক্রীড়াবিদ অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন এবং বক্সিং সহ ১২টি বিভিন্ন খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷

এই দলে আছেন আফগানিস্তানের তিন নারী এবং তিনজন পুরুষ অ্যাথলেট। এই পদক্ষেপটি তালেবান শাসিত দেশটিকে বার্তাও দিচ্ছে। তালেবান সরকার আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের খেলাধুলা এবং জিমে প্রবেশাধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।

তালেবানদের ভাষ্য, তারা ‘ইসলামিক আইন এবং স্থানীয় রীতিনীতি’ অনুসারে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে। তারা মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মহিলাদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে পার্ক এবং জিমে প্রবেশাধিকারও সীমিত করেছে। তালাশ তারই প্রতিবাদ করেছেন গত রাতে। যে কারণে তিনি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন। 

অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ অবশ্য তালেবান সরকারকে সমর্থন করে না আদৌ। আইওসি কর্তৃক স্বীকৃত আফগানিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির (এনওসি) প্রধান এবং এর মহাসচিব দুজনেই বর্তমানে নির্বাসনে আছেন। এদিকে আইওসি জানিয়েছে যে কোনো তালেবান কর্মকর্তাকে গেমসের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত খবর