রাজনৈতিক পরিচয় এড়িয়ে ‘মেধা’র ভিত্তিতেই দলে সাকিব
মাঠের বাইরের সমালোচনাগুলো একটু সরিয়ে রাখলে ক্রিকেটীয় জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সাকিবের নাম থাকবে সবার ওপরেই। দলে এমন ক্রিকেটার থাকাটাই আলাদা যেন এক শক্তি। সেটি মাথায় রেখেই সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় এড়িয়ে মূলত মেধার ভিত্তিতে আসন্ন পাকিস্তান সফরের জন্য তাকে দলে বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
দেশের সবশেষ ক্ষমতাসীন সরকার দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো রাজনীতিতে আসেন সাকিব। তবে সম্প্রতি সেই সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে নিজের পদ হারান তিনিও। এতেই আলোচনা জোরালো হয়েছিল রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় এবং দেশের সবশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে কিছুদিনের জন্য জাতীয় দলে দেখা নাও যেতে পারে। এমন আলোচনাও উঠেছিল, ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছেন সাকিব! তবে গত রাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হলো সাকিবের অবস্থান।
দল ঘোষণার পর আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লিপু জানান, ‘দল ঘোষণায় সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়কে রাখা হয়েছিল বাইরে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই সাকিব ব্যস্ত ছিলেন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগটা গত মাস থেকেই ছিল বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক। এই প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, যোগাযোগ ছিল। গত মাসেও ছিল এ মাসেও হয়েছে। প্রসেস হলো যে দেশের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যদি থাকে তার সম্বন্ধে খোঁজ খবরটা নেওয়া।’
বছরের বাকি সময়ে বাংলাদেশ মোট টেস্ট খেলবে মোট আটটি। আসন্ন পাকিস্তানসহ সামনের সেই চারটি সিরিজের প্রত্যেকটিতেই সাকিব এভেইলেবল আছে বলেন জানান লিপু।