থর্পের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তার পরিবার
আগস্টের ৫ তারিখ হঠাত মৃত্যুবরণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্প। তার মৃত্যুর কারণটি সেই মুহুর্তে সঠিকভাবে জানা না গেলেও এবার নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, আত্মহত্যা করেছেন এই সাবেক ইংলিশ ব্যাটার!
আজ (১২ আগস্ট সোমবার) থর্পের স্ত্রী নিজেই প্রকাশ করেছেন বিষয়টি। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন এই ক্রিকেটার, এক পর্যায়ে মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে তাকে। এরপরই আত্মহননের পথ বেছে নেন থর্প।
দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে থর্পের স্ত্রী আমান্ডা বলেছেন, ‘থর্প আমাদের খুব ভালবাসতো। আমরাও তাকে খুব ভালবাসতাম। তারপরেও সে মানসিক অবসাদে ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। থর্পের মনে হত, ও না থাকলে আমাদের জীবন আরও ভালো হবে। সেটা ভেবেই সে নিজেই নিজেকে শেষ করে দিল।’
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন থর্প, এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার। সে প্রসঙ্গে তার স্ত্রী জানান, ‘গত কয়েক বছর ধরে হতাশা তাকে শেষ করে দিচ্ছিল। দীর্ঘদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিল সে। আমরা তাকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করছিলাম। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিল। কিন্তু কোনোকিছুই কাজে দিল না। ও চলে গেল।’
থর্পের মেয়ে কিটি চান মানুষকে এই ধরনের অসুস্থতা সম্পর্কে জানাতে, আরও সচেতন করতে। তিনি বলেছেন, ‘এটি নিয়ে কথা বলতে আমরা লজ্জিত নই। লুকানোর কিছু নেই। আমরা আগে তাকে সুস্থ হতে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম এবং তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। এটাই এখন সময়। খবরটি শেয়ার করুন তা সে যতই ভয়ানক হোক। আমরা মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চাই।’
১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল থর্পের। একই বছরে ওয়ানডে এবং টেস্ট দলে অভিষেক হয় তার। ২০০২ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে ও ২০০৫ সালে ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার পর অবসর নেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। টেস্টে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ২০০। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৮২টি ম্যাচে তার মোট রান ছিল ২৩৮০। ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলে তার অবদানের জন্য ২০০৬ সালে ‘মেম্বার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।