ঘরের মাঠে ফ্লিকের অভিষেকে বড় হার বার্সার
বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়ে জার্মান কোচ হানসি ফ্লিক যতগুলো ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন, তার সবগুলোই ছিল ঘর থেকে দূরে। ‘নিজেদের মাঠ’ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গতকালই প্রথম তার অধীনে নেমেছিল বার্সা। তবে তার ‘অভিষেক’টা মোটেও ভালো হয়নি। ফ্লিকের শিষ্যরা হোয়ান গ্যাম্পার ট্রফির ম্যাচটায় মোনাকোর কাছে হেরেছে ৩-০ গোলে।
আনুষ্ঠানিকভাবে মৌসুমটা শুধু হয়নি এখনও। তবে প্রাক মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে সব ম্যাচেই জিতে এসেছিল বার্সা, যার একটা জয় ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। তবে সেই দলটাই ঘরে ফিরে হেরে বসল মোনাকোর কাছে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর মোনাকো দ্বিতীয়ার্ধে লিড নেয়। লামিনে কামারা এগিয়ে দেন সফরকারীদের। এরপর ব্রিল এমবোলোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মোনাকো। এরপর ক্রিশ্চিয়ান মাভিসার গোলে দলটার জয় নিশ্চিতই হয়ে যায়।
পরিস্থিতিটা আরও খারাপ হয় এরপর। দলের জয় দেখার আশায় ঘরের মাঠে আসা সমর্থকরা দুয়ো দিয়েছেন নিজেদের দলকেই।
এই হারের ফলে ঐতিহ্যবাহী হোয়ান গ্যাম্পার ট্রফিতে ১২ বছর পর হারের বিস্বাদ নিল বার্সা। সবশেষ যেবার হেরেছিল দলটা, তা এসেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমের শুরুতে, সাম্পাদোরিয়ার কাছে সেবার ১-০ গোলে হেরেছিল দলটা।
আর যদি হিসেব করা হয় স্কোরলাইনের, তাহলে ২ দল নিয়ে গ্যাম্পার ট্রফির ম্যাচে এটাই কাতালানদের সবচেয়ে শোচনীয় হার। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৪ দলের টুর্নামেন্ট ছিল এটা, সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ১৯৮১ সালে এফসি কোলনের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল বার্সা। তার পর থেকে এটাই গ্যাম্পার ট্রফিতে তাদের বড় হার।
বার্সেলোনাকে অবশ্য এই হারের গ্লানি মুছে শিগগিরই নামতে হবে মাঠে। আগামী শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ম্যাচ দিয়ে লা লিগা মৌসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে তাদের।
এদিকে কার্লো অ্যানচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ গেল মৌসুমে লা লিগার পাশাপাশি জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। তাদের সেই দলের সঙ্গে যোগ হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপেও। তাদের লিগ ধরে রাখার মিশন শুরু হবে রোববার। ম্যাচটা হবে মায়োর্কার বিপক্ষে।