ভারত সফর দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চান এবাদত
বাংলাদেশ পেস ইউনিটের অন্যতম ভরসার নামে পরিণত হয়েছিলেন এবাদত হোসেন। তাকে নিয়েই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল সাজানোর পরিকল্পনাও করেছিল বিসিবি। তবে কাল হয়ে দাঁড়ায় চোট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই চোটের পর এবাদতের মাঠের বাইরে থাকার সময়টা হয়ে গেছে এক বছরেরও বেশি। তবে শীঘ্রই মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এই ডানহাতি পেসার। এবাদতের লক্ষ্য, আসন্ন ভারত সফর দিয়েই ফিরবেন জাতীয় দলে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সময় আম্পায়ারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পিচের ওপর পড়ে যান এবাদত। শুরুতে চোটের অবস্থা এতদূর গড়াবে তা নিয়ে কোনো আঁচই পাওয়া যায়নি। তবে সিটি স্ক্যানের পর ধরা পড়ে তার এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে) ছিঁড়ে গেছে। এবং এই চোট থেকে সেরে উঠতে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন বছরখানেক সময়।
গত বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডে তার বা হাঁটুতে অস্ত্রোপচার সম্পন্নের পর এখন চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। মিরপুরে আজ রানিং ও ফিটনেসের কাজ করেছেন এবাদত। এতেই আশা রাখছেন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই দলে ফিরবেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার।
সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুটি টেস্ট ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সফর শুরু হবে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। প্রথম টেস্টটি শুরু হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, চেন্নাইয়ে। সেই ম্যাচকে লক্ষ্য ধরেই আজ (বুধবার) মিরপুরে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এবাদত বলেন, ‘আমার লক্ষ্য আছে যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটা চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। ওখানে খেলার সুযোগ থাকলে নিজের ফিটনেসটা বুঝতে পারব। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য কতটুকু ফিট, বুঝতে পারব। দেখা যাক।’
তবে এখন বোলিং ইনটেনসিটির শতভাগ দিতে পারছেন না এবাদত। তবে আশা করছেন সেটি ঠিক হয়ে যাবে দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই। ‘বোলিং শুরু করেছি এক-দেড় মাস হলো। বোলিং ইনটেনসিটির ৭০–৮০ শতাংশ দিতে পারতাম, ওভাবেই আছে এখনো। ট্রেইনার একটা প্রোগ্রাম দিয়েছেন, শেষ অংশে কীভাবে বোলিং করতে হয়, কেমন ফিটনেস বজায় রাখতে হবে। ওটা মেনে অনুশীলন করছি। আশা করছি, আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ফুল ছন্দে বোলিং করতে পারব।’
এদিকে লম্বা সময় ধরে যখন এবাদত মাঠে বাইরে তখন ফেরার জন্য টেস্ট ফরম্যাট কতটা কার্যকরী হবে সে নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। অবশ্য সেটি নিয়েও কথা বলেছেন এই ডানহাতি পেসার। সেই প্রসঙ্গে এবাদত বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট ভাবছে কোন সংস্করণ দিয়ে ফেরা আমার জন্য ভালো হয়। ভারত সিরিজের আগে চার দিনের একটা ম্যাচ খেলতে পারলে আমি আমাকে বিচার করতে পারব। তখন বুঝতে পারব, টেস্টের জন্য আমি কতটুকু ফিট।’
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন এবাদত। যেখানে উইকেট নিয়েছেন মোট ৭১টি।