সাকিব-নাফিসা কামালের ভিডিও ভাইরাল, মুখ খুললেন শিশির
সাকিব আল হাসান আবারও আলোচনায় চলে এসেছেন। ‘সমালোচনা’ বলাই ভালো! গত রাতে সাকিবের সঙ্গে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সঙ্গে অচেনা নারীর সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সাকিবপত্নী শিশিরের কার্যকলাপ ইঙ্গিত দিচ্ছিল দুজনের বিচ্ছেদেরও।
তবে শিশির বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ করে থাকেননি। বাংলাদেশ সময় সকালে একটি পোস্টের মাধ্যমে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিব ১৩ বছর আগের সাকিবই আছেন তার কাছে। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যাই নেই।
গুঞ্জনের শুরুটা হয় সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে। যেখানে দেখা যায়, সাকিব আর নাফিসা কামাল একটি কফিশপে বসে আছেন। এক ভক্ত গিয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলার ছল করে পুরো বিষয়টি ভিডিও করে নিয়ে আসেন। এরপর তার আরও কিছু ছবি প্রকাশ পায়, যেখানে দেখা যায় সাকিব কোনো এক অচেনা নারীর সঙ্গে ঘুরছেন, যিনি শিশির নন।
বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালে উম্মে আহমেদ শিশিরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। সেখান থেকে একে একে গায়েব হয়ে যেতে থাকে সাকিবের সঙ্গে তার সব ছবি। এমনকি দুজন দুজনকে ইনস্টাগ্রাম থেকেও আনফলো করে দিয়েছেন। যার ফলে দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন তীব্র হয়।
তবে সাকিবপত্নী শিশির সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন এক পোস্টে। আজ সকালে তিনি তার ফেসবুক পাতায় সপরিবার ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে।
তিনি লেখেন, ‘তার ক্যারিয়ার, তার সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার মতামত থাকতে পারে, আমি অস্বীকার করব না বিষয়টা, বলার স্বাধীনতা সবারই আছে। আপনি যেভাবে ইচ্ছা তার সমালোচনা করুন। তবে এর সঙ্গে দয়া করে আমাদের সম্পর্কটাকে মেশাবেন না। সে একজন দারুণ স্বামী, বাবা হিসেবেও দারুণ। আমার প্রতি সে সবসময় সৎ আর অনুগত থেকেছে, আমাকে কখনো দুঃখ দেয়নি। সে এমন একজন মানুষ যে একবার নিষিদ্ধও হয়েছিল আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে। সে বাইরে গিয়ে কী করে, তা আমি সবসময় জানি; বাইরে গেলে বেশিরভাগ সময়ই আমি তার পাশে থাকি। ১৩ বছর আগে সে যেমন ছিল, এখনও শতভাগ তাই আছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দারুণ একটা পরিবারও আছে।’
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এই গুঞ্জন প্রসঙ্গে শিশিরের ভাষ্য, ‘অনলাইনে এসব গুঞ্জন ছড়ানো বন্ধ করুন দয়া করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লেখা হয়, তা সবসময় বিশ্বাস করবেন না। কারণ এসব স্রেফ কাট-পেস্ট করা ছবি, এটা পুরো বিষয়টাকে তুলেও ধরে না। যারা এসব ছড়াচ্ছেন, তাদের বলছি এসব করে আপনাদেরও তো লাভ নেই! নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ করি না আমি, আমি চুপ থাকতে চেয়েছিলাম, কারণ সত্যটা আমি জানি। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কিছু ফোনকল, টেক্সটের কারণে আমার বিষয়টা পরিষ্কার করতে হলো। সে এখন পাকিস্তানে আছে, বর্তমানে মনোযোগ দিচ্ছে, আমি আমার পরিবারের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা সবসময়ই একটা দল ছিলাম, ভবিষ্যতেও তাই থাকব ইন শা আল্লাহ।’
ফেসবুক থেকে সব ছবি সরিয়েও নিয়েছেন শিশির। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার কোনো পোস্ট বা ছবি ডিলিট করিনি। আমি ছবিগুলোকে প্রাইভেট করেছি। কারণ ছবি বা পোস্ট কোনো সম্পর্কের প্রমাণ হতে পারে না।’
তবে এত কিছুর পরেও একটা বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়। সবকিছু যদি ঠিকই থাকবে তাহলে দুজন দুজনকে ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করলেন কেন? রহস্যটা তাই রয়ে গেল শিশিরের এই স্ট্যাটাসের পরেও।