মেয়ে হুমায়রাকে আন্দোলনে যেতে উৎসাহ দিয়েছিলেন মাশরাফি

মেয়ে হুমায়রাকে আন্দোলনে যেতে উৎসাহ দিয়েছিলেন মাশরাফি

নিজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ ছিলেন। তার পেছনের কারণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন বড় দায়িত্বে থাকার দায়বদ্ধতাকে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই বলে নিজের মেয়ে হুমায়রা মুর্তজাকে আন্দোলনে যেতে বা সে বিষয়ক কোনো কিছু শেয়ার করা থেকে বাধা দেননি। বরং উৎসাহ দিয়েছেন আন্দোলনে যেতেও। গতকাল এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান এ কথা। 

হুমায়রা মুর্তজার বয়স ১৩। তিনি বর্তমানে পড়ছেন হাই স্কুলে। নেট দুনিয়াতেও পদচারণা আছে তার, সেটা পরিষ্কার হলো মাশরাফির কথায়। শুধু যে পদচারণা আছে, তা নয়, গেল মাসে আন্দোলনে যখন গোটা দেশ উত্তাল, ঠিক তখন ইনস্টাগ্রামেও সোচ্চার ছিলেন তিনি। বিষয়টা তার কানে দিয়েছেন তারই এক ছোট ভাই। পরে তিনি হুমায়রাকে জিজ্ঞেস করেন এই বিষয়ে। 

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’’

এরপর মাশরাফি জানালেন, স্কুল থেকে আন্দোলনে গেলে তার সঙ্গে হুমায়রাকেও থাকতে। তিনি বলেন, ‘আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি।’

তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন কিছু বলছেন না এ বিষয়ে, সে নিয়ে পরিবারের কাছেও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তানদের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হয়েছে, কেন কিছু লিখতে পারিনি। শুধু পরিবার নয়, বন্ধু-বান্ধব, আশেপাশের সবাই জিজ্ঞেস করেছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি। তবে মেয়ের কাছে অন্তত এটুকু জায়গা আমার আছে যে, বাবা তাকে আটকায়নি।’

সম্পর্কিত খবর