ডাচদের হারিয়ে আফগানদের হ্যাটট্রিক

ডাচদের হারিয়ে আফগানদের হ্যাটট্রিক

বাংলাদেশ যে ভুল করেছিল, আফগানিস্তান সে ভুলটা করেনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ডাচদের দেওয়া ছোট লক্ষ্য সামলেছে ঠাণ্ডা মাথায়। ১৮০ তাড়া করে ফেলেছে ৭ উইকেট আর ১১১ বল হাতে রেখেই। চলতি বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয়ে আফগানরা চলে এসেছে সেমিফাইনালের কাছেও।

টস জিতে নেদারল্যান্ডস নেয় ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। তবে লক্ষ্ণৌতে তাদের সে সিদ্ধান্তটাকে ভুল মনে হচ্ছে ইনিংসের মাঝপথে এসে। ওয়েসলি বারেসিকে প্রথম ওভারেই খোয়ানোর পর ডাচরা সে ধাক্কাটা সামলে নিয়েছিল। ম্যাক্স ও'দাউদ আর কলিন অ্যাকারাম্যান মিলে গড়েন জুটি।

তবে তাদের ৭০ রানের বেশি যোগ করতে দেয়নি আফগানরা। রান আউটের কাটায় পড়েন ম্যাক্স। কিছু পরে অ্যাকারম্যানও ওই একইভাবে বিদায় নেন। ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডসও বিদায় নেন ওই রান আউট হয়েই!

এক ইনিংসে তিন রানআউট, তাও আবার টপ আর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের। তাতে ব্যাটিং দলের আর করার কীইবা থাকে? ডাচ ইনিংসে এরপর ধস নামান আফগান বোলাররা। বাস ডি লিডেকে ফেরান মোহাম্মদ নবী, কিছু পর নুর আহমেদ সাজঘরের পথ দেখান সাকিব জুলফিকারকে। তাতেই ২৫ ওভার না যেতে ডাচরা পড়ে যায় অলআউটের শঙ্কায়।

সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট সে শঙ্কা থেকে ডাচদের মুক্তি দেওয়ার আশা যেই না দেখাচ্ছিলেন, তিনিও পড়লেন রান আউটের কাটায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। শেষ দিকে রোলফ ফন ডার মারভার ১১ আর আরিয়ান দত্ত করেন ১০। তাতে ১৭৯ রান তুলে ইনিংস শেষ করে ডাচরা।

শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় রান তাড়া করেছে আফগানরা, তাতে তখনই তাদের জয়ের বিষয়টা আঁচ করা যাচ্ছিল। এ ম্যাচেও তাড়া করাটা শুরু করে একই ধাঁচে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইবরাহিম জাদরান অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফেরেন পাওয়ারপ্লে শেষ না হতেই।

তবে রহমত শাহ আর হাশমতউল্লাহ শহিদি দলকে রাখেন জয়ের কক্ষপথে। রহমত ফিরলেও হাশমত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৭ উইকেটের এই জয়ের ফলে আফগানরা টিকে রইল সেমিফাইনালের দৌড়ে। অনেক যদি কিন্তু পক্ষে এলে আফগানদের দেখা মিলতেও পারে সেমিফাইনালে!

সম্পর্কিত খবর