ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও আলাপ বন্ধ করেনি আইসিসি

ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও আলাপ বন্ধ করেনি আইসিসি

বাংলাদেশ পরিস্থিতি আইসিসির নজরদারিতে আছে, সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। সেটা চলছে এখনও। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আসন্ন নারী বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১৫ আগস্টের ডেডলাইন ঠিক করেছিল নিজেদের ওপর। সে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলাপ বন্ধ করেনি আইসিসি। এখনও দুই পক্ষের আলোচনা চলছে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে।

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি আরও কিছু বাড়তি সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিসিকে অনুরোধ করেছে বিসিবি। আইসিসিরও সায় আছে তাতে। তাদের আশা শিগগিরই পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যাবে। দুই পক্ষের আলোচনাটা এখনও চলছে সে কারণেই। 

চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তবে বিশ্বকাপের সময় আরও দেড় মাস বাকি। তার ওপর সে সময় বাড়তি নিরাপত্তা দেবে বলে বিসিবিকে আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

সরকার পতনের পর থেকে বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন থেকে শুরু করে বেশ কিছু কর্তা অনুপস্থিত বিসিবিতে। তাদের অবর্তমানে কী করে বোর্ডের কাজ চালানো যায়, সেজন্যে বিসিবি গাইডলাইন চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে। বর্তমানে বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর। মূল তিনটি দেশ হচ্ছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া, যারা বিশ্ব ক্রিকেটেরও বড় অংশীদার। সেটা তুলে নিতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ সারছে বিসিবি। 

প্রধান কার্যনির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, আইসিসির সঙ্গেও এ বিষয়ে আলাপ চলছে এখনও। তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট একটা ডেডলাইন ছিল আইসিসির। তারা আরও কিছু সময় দেখবেন সম্ভবত। আমরা এখনও যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টা ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে।’

এদিকে আইসিসি বিকল্প ভেন্যুর ভাবনাও ছাড়ছে না। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারতকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, তিনি সাফ না করে দিয়েছেন তাদের। তিনি বলেন, ‘তারা বিসিসিআইকে জিজ্ঞেস করেছিল আমরা টুর্নামেন্টটা আয়োজন করতে পারবে কি না। আমি সরাসরি না বলে দিয়েছি।’

সম্পর্কিত খবর