টপ এন্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনালে বাংলাদেশ
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল গতকাল। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ২১ রানে হারিয়েছে নর্দার্ন টেরিটরিকে হারিয়েছে। তাতেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আকবর আলীদের।
আজ রবিবার টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার জিশান আলম ফেরেন সাজঘরে। এরপর দলকে আশা দেখাচ্ছিল তানজিদ তামিমের ব্যাট। ১১ বলে ১৬ রান করে তিনিও অবশ্য ফেরেন দ্রুতই। ওপাশে পারভেজ হোসেন ইমন খেলেছেন শম্ভুকগতির ইনিংস। ২৩ বলে তিনি করেছেন মোটে ১৭ রান।
চারে নামা আফিফ হোসেন আজ খেলেছেন ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস। তবে দুজনই ফেরেন এরপর। আকবর আলীও ৮ বলে ৫ রান করে বিদায় নিলে ৭৭ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ পড়ে যায় বিপাকে। ওভারপ্রতি রান যে ছিল তখন ৬ এর একটু ওপরে।
সেখান থেকে বাংলাদেশের রান ১৩৮ পর্যন্ত গেছে শামীম পাটোয়ারী আর মাহফুজুর রহমান রাব্বির ব্যাটে চড়ে। শামীম ৩৪ বলে ৪১ করে বিদায় নিলেও রাব্বি ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ২০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ দিকে নেমে ৫ বলে ৮ রান করেন আবু হায়দার রনি। বাংলাদেশ লড়াকু পুঁজির দেখা পেয়ে যায় তাতে।
জবাবে নর্দার্ন টেরিটরির শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট খোয়ায়নি দলটা। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ইনিংসের সপ্তম ওভার পর্যন্ত। ডার্সি শর্টকে ফিরিয়ে আকবর আলীর দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আলিস আল ইসলাম।
এরপর অজিদের চেপে ধরেন রাকিবুল হাসান আর রিপন মণ্ডল। দুজন মিলে দ্রুতই দুটো করে উইকেট তুলে নিলে ৭১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে এনটি।
এ পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধটা গড়েছিল। নর্দার্ন টেরিটরিও তেমন কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। তবে তাদের ষষ্ঠ উইকেট জুটিটা ভাঙে রানআউটের কাটায়। হামিশ মার্টিন বিদায় নেওয়ার পরের বলেই ম্যাট হ্যামন্ড হন আবু হায়দার রনির শিকার।
এরপরই নর্দার্ন টেরিটরি ম্যাচ জেতার পথ থেকে ছিটকে যায়। ইনিংস শেষ করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিপন।
অন্য সেমিফাইনালে পাকিস্তান শাহিনস হেরেছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের কাছে। কিছুক্ষণ পর এই অ্যাডিলেডেরই মুখোমুখি হবে আকবর আলীর দল।