ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত করার এজেন্ডা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের
সরকার দলীয় রাজনীতিবিদদের ক্রীড়াঙ্গনে প্রভাবটা অচেনা কোনো দৃশ্য নয়। এই দুইয়ের যোগ থাকা মানে দেশের সরকারে পালাবদল এলে ক্রীড়াঙ্গনেও পালাবদল হওয়া। তা হচ্ছেও এখন। সরকার পতনের পর প্রায় সব ফেডারেশনের অধিকাংশ কর্তা আছেন আত্মগোপণে।
এটা বড় এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলাগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানোতে। এই সমস্যা সমাধানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বসবেন ফেডারেশনগুলোর সাথে। এই উদ্যোগ স্বল্পমেয়াদী সমাধানের চেষ্টা।
আর দীর্ঘমেয়াদে যেন এমন না হয়, তার পদক্ষেপটাও নিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির হাত বেশ আগে থেকেই ছিলো। যেটা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ প্রভাব এতোদিন পড়লেও সরকার পতনের পর সেই প্রভাব অনেক বেশিই পড়েছে। এবার তাই ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টাই করবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘স্পোর্টসকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার একটা এজেন্ডা আমাদের আছে।’
এই প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে রোডম্যাপও বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ভাষ্য, ‘সেজন্যে আমরা একটা সার্চ কমিটি গঠন করে দেব, যারা প্রত্যেকটা ফেডারেশনের বর্তমান অবস্থা, দায়িত্বশীলদের সবাই আছেন কি না, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী, কোন ভিত্তিতে তারা সেখানে আছেন, সেটা নিয়ে তারা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। যে স্পোর্টসের সঙ্গে যে যুক্ত আছে, তাদের দিয়েই ফেডারেশনগুলো ঢেলে সাজাব। রাজনৈতিক প্রভাব সর্বোচ্চ কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’
শুধু বিরাজনীতিকরণই নয়। এতোদিন যেসব দুর্নীতি এবং অনিয়ম হয়েছে সেগুলোরও তদন্ত হবে। যারা দায়ী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন উপদেষ্টা। তার কথা, ‘ইতোমধ্যেই ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতিগুলো আছে, এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করব, এই বিষয়ে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু না হয়।’