ক্রীড়াক্ষেত্রে এতদিন যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব: ক্রীড়া উপদেষ্টা
সবশেষ সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন ক্রীড়াখাত চালানো এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। এতেই সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে আজ (রোববার) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে কথা উঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা নিয়ে, বিকেএসপির মতো আলাদা স্পোর্টস ইন্সটিটিউশন করা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়ে। তবে সেখানে উপদেষ্টার একটা কথা আলোচনায় এসেছে আলাদাভাবেই। ক্রীড়াক্ষেত্রে এতদিন যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের কাজে নেমেছেন উপদেষ্টারা। তারই সূত্র ধরে এবার ক্রীড়াঙ্গনকে কেবল রাজনীতিমুক্তই নয়, ইতোমধ্যেই ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অন্যায়-অনিয়ম, দুর্নীতিগুলো হয়েছে তার তদন্ত করা দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও সামনে আনেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতিগুলো আছে, এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করব, এই বিষয়ে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু না হয়।’
এছাড়া স্পোর্টসে রাজনীতিমুক্ত রাখার এজেন্ডাও বানিয়ে ফেলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। ‘সেজন্যে আমরা একটা সার্চ কমিটি গঠন করে দেব, যারা প্রত্যেকটা ফেডারেশনের বর্তমান অবস্থা, দায়িত্বশীলদের সবাই আছেন কি না, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী, কোন ভিত্তিতে তারা সেখানে আছেন, সেটা নিয়ে তারা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। যে স্পোর্টসের সঙ্গে যে যুক্ত আছে, তাদের দিয়েই ফেডারেশনগুলো ঢেলে সাজাব। রাজনৈতিক প্রভাব সর্বোচ্চ কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’
এদিকে ক্রিকেট এবং বিসিবি নিয়ে উপদেষ্টার ভাবনায় সবার আগে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশের মাটিতেই আয়োজন নিয়ে, ‘সেই বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে৷ এই বিষয়ে আমরা আইসিসি এবং আরও যারা বডি আছে তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো এবং সে হিসেবে আপনাদের অবগত করবো।’