পদত্যাগের নিদের্শনা শুনে ববি-জালাল যা বললেন ও করলেন
সকাল সাড়ে সাতটায় বিসিবি পরিচালক সাজ্জাদুল আলম ববির ফোন রিং বাজলো। অপরপ্রান্তে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব। গুড মর্নিং বিনিময়ের পর বার্তা জানাতে বেশি সময় নিলেন না সচিব। বললেন, আপনি বিসিবিতে এনএসসির কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে এসেছেন পরিচালক পদে। এখন নির্দেশনা হলো আপনাকে এনএসসির কাউন্সিলার এবং বিসিবির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
সচিবের এই নির্দেশনা শুনে ববি যা বললেন তা ঠিক এমন- ‘আপনারা আমাকে কাউন্সিলর বানিয়েছিলেন। এখন যদি এই বিষয়ে আপনাদের নতুন কোনো সিদ্ধান্ত থাকে তাহলে আমাকে তা জানাতে পারেন এবং আমি সেটা শুনলাম।’
তাহলে কি আপনি পদত্যাগ করছেন ববি ভাই? এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে ববি বললেন, ‘আমার যা বলার এবং করার সেটা আমি এনএসসি সচিবকে উপরের মন্তব্যে যা বলেছি, সেটাই জানিয়েছি।’
এদিকে স্পোর্টস বাংলাকে তার পদত্যাগ করার তথ্য জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। অপেক্ষায় ছিল কবে নির্দেশটা আসবে। সেই নির্দেশনা পেয়েছি। তাই সরে দাঁড়িয়েছি।’
বিসিবির নির্বাচনে এনএসসি থেকে কাউন্সিলর হয়েছিলেন দু'জন ক্রিকেট সংগঠক। জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম ববি। এই দুজনকেই সোমবার ভোরবেলা এনএসসির সচিব ফোন করেছিলেন। তাদেরকে নতুন নির্দেশনা জানান তিনি। এই নির্দেশনা অনুযায়ী জালাল ইউনুস এনএসসির কাউন্সিলর এবং বিসিবির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আর সাজ্জাদুল আলম ববি এনএসসির সচিবকে যা বললেন, সেটা তো উপরেই পড়লেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, তারা বিসিবিতে সার্বিক একটা পুর্ণগঠন চান। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে বিসিবির বর্তমান পরিচালকদের পদত্যাগের নির্দেশনা এসেছে। সরকার পতনের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালকের কোনো খোঁজ নেই। ২৬ পরিচালকের বেশিরভাগই বিসিবি কার্যালয়ে আসছেন না। যোগাযোগও নেই। এই পরিস্থিতিতে বিসিবির নিয়মিত কার্যাবলীর দায়িত্ব পালনে সঙ্কটে পড়েছে। এরই মধ্যে বিসিবির এক পরিচালক জানান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পাপন পদত্যাগ করার আগেই এনএসসির কোটায় কাউন্সিলর হওয়া বিসিবির দুজন পরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গেল।