কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবি

  • স্পোর্টস বাংলা ডেস্ক
  • ০৪:৩৭ পিএম | ১৯ আগস্ট, ২০২৪

সরকারের পতনের পর  বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তবে ফুটবলের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও নিজের দায়িত্ব অনড় থাকার কথা জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এমনকি সামনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথাও জানান। বাফুফে ভবনের সামনে ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাসের’ নামক এক সমর্থক দলের বিক্ষোভকে মাথায় রেখে গত সপ্তাহে এমন মন্তব্য করেছিলেন বাফুফে সভাপতি। এবার কাজী সালাউদ্দিনের পদতাগের দাবি জানাল বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরনের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এক দফা দাবির পেছেন বেশ কিছু কারণও তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম। সেগুলো হলোঃ

১। বাফুফে নির্বাচনের জন্য কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রাজনৈতিক ও সরকারী প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করে বিগত সকল নির্বাচনে তিনি জয়লাভ হয়েছেন। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা’র নিয়ম অনুযায়ী কোন দেশের ফুটবল ফেডারেশন বা মেম্বার এসোসিয়েশনের কার্যক্রমে রাজনৈতিক ও সরকারী হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হয় না, সেরকম কিছু ঘটলে ফিফা সংশ্লিষ্ট দেশকে ফিফা হতে নিষিদ্ধ করা হয়। যার ঘটনা বাংলাদেশে একবার ঘটেছিলো কিন্তু অতীব আর্শ্চযের বিষয় বিগত নির্বাচনগুলোতে খোদ বাফুফের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন রাজনৈতিক ও সরকারী প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করেছে সভাপতি হয়েছেন সেটার ব্যাপারে ফিফা সম্পূর্ন নিশ্চুপ! আমরা চাই আগামীতে বাফুফে নির্বাচনে কেউ যাতে কোন ভাবে রাজনৈতিক ও সরকারী প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

২। বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকা এবং মিডিয়াতে বাফুফের কার্যক্রমের বিপক্ষে যে সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির রিপোর্ট হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক এবং দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

৩। ফিফা, এএফসি এবং দেশী-বিদেশী স্পন্সরদের হতে প্রাপ্ত ফান্ড তছরুপ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল হতে জানা গেছে এবং পত্র-পত্রিকা এবং মিডিয়াতে এসব নিয়ে রিপোর্ট হওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

৪। বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ কাণ্ডের পর ফিফা’র তদন্তের পর বাফুফের তদন্তে যেসকল অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিলো সে আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় সকলের মাঝে সন্দেহ তৈরি হয়েছে আসলেই কি কাউকে ছাড় দিয়ে সুযোগ দেয়া হচ্ছে? দোষীদের শাস্তি চাই।

৫। বিদেশী কোচ নিয়োগে বানিজ্য হয়, কমিশন বানিজ্য হয়। বিদেশী কোচেরা দেশের ট্যাক্স ফাঁকি দেন, এতে বাফুফের সায় আছে। বার বার এগুলোর সুযোগ দেয়া হয়েছে।

৬। ফিফা’র তদন্তের পর আবারও লোক দেখানো তদন্ত করতে হবে কেন? বাফুফে কি ফিফা’র চেয়ে বড় হয়ে গেলো?

৭। বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটিতে বাফুফে সভাপতি’র একক ক্ষমতা কমাতে হবে।

৮। অবিলম্বে বাফুফে ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত আয়নাঘর খ্যাত বা আবাসিক হোটেল খ্যাত মহিলা ক্যাম্প বন্ধ করে ভালো, উন্মুক্ত এবং সুন্দর পরিবেশে স্থানান্তর করতে হবে।

৯। বাফুফেতে অবৈধ ভাবে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, সৎ যোগ্য এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে হবে।

১০। বাফুফের দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ইমরান হোসেন তুষার, জাবের বিন তাহের আনসারী, হাসান মাহমুদ, মোজাম্মেল মিঠু, তানভীর আহমেদ ও মাহবুব আলম পলোকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং তাদের দূর্নীতির তদন্ত করে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে।

এদিকে এই সকল দাবি মানতে বাফুফেকে এক সপ্তাহের সময় দিয়েছে সংগঠনটি। অন্যথায় তারা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানায়।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :