সিইও সুজনের ডাকেই কাল বসছে বিসিবি সভা

সিইও সুজনের ডাকেই কাল বসছে বিসিবি সভা

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শেষ অনেক দিন ধরেই দেশে নেই। সরকার পতনের পর থেকে তিনি আছেন দেশের বাইরে। তার সঙ্গে বিসিবির আরও অনেক পরিচালকও গা ঢাকা দিয়েছেন রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে।

এমন পরিস্থিতিতে বিসিবির কার্যক্রমও রীতিমতো স্থবির হয়ে পড়েছিল। এমন অচলাবস্থায় করণীয় কী, সে বিষয়ে নিজেদের কার্যপদ্ধতি ঠিক করতে আগামীকাল সকালে বিসিবি সভা বসছে। আর বোর্ড সভাপতির অনুপস্থিতিতে এই সভাটি ডেকেছেন বিসিবির প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন।

সাধারণত বোর্ড সভাপতির আদেশক্রমে এসব সভা আহবান করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তবে এখন যেহেতু বোর্ড সভাপতি সশরীরে হাজির নেই, সেক্ষেত্রে এই সভা ডাকলেন কে?

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন স্পোর্টস বাংলাকে জানান, ‘বুধবারের এই সভা আমিই আহবান করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বোর্ড কিভাবে চলবে, এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে এই সভায়। বুঝতেই পারছেন সার্বিক যে পরিস্থিতি এখন তাতে এমন সিদ্ধান্তে আসাটা খুবই জরুরি। বোর্ড পরিচালকদের ইমেইল যোগে এই সভা আয়োজনের বার্তা পৌছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা এই সভায় যোগ দেবেন।’

ধারণা করা হচ্ছে মূলত এই সভায় বিসিবির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদের নামটাই এখন সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। তার সঙ্গে বোর্ডে অর্ন্তভুক্ত হতে পারেন ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমও। 

এই দুজনকে বোর্ডে অর্ন্তভুক্ত করার প্রাথমিক কাজটুকু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এরই মধ্যে সেরে ফেলেছে। তারা দুজনেই এনএসসির কাউন্সিলর হয়ে বিসিবির পরিচালনা পরিষদে আসছেন। এনএসসির আগের দুই কাউন্সিলর জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগের জন্য বলা হয়েছিল। 

এনএসসির সেই নির্দেশ পেয়ে জালাল ইউনুস তার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আর বিসিবির পরিচালক নন। অন্যদিকে সাজ্জাদুল আলম ববি জানিয়েছেন, তিনি এনএসসির নতুন সিদ্ধান্তের কথা জেনেছেন এবং শুনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে ববি নিজে থেকে এনএসসির কাউন্সিলরশিপ ছাড়ছেন না। পদত্যাগ করছেন না। এনএসসি এখন তাকে সরিয়ে দিলে তবেই তিনি সরবেন। অর্থাৎ ভবিষ্যতে এনএসসির এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার পথ তৈরি করে রাখলেন সাজ্জাদুল আলম ববি।

সম্পর্কিত খবর