বিসিবি থেকে পদত্যাগ করলেন পাপন
বিসিবি’র জরুরি সভা শুরু হয়েছে বুধবার সকালে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এই সভা শুরু হয়। সভা থেকেই খবর মিলেছে যে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেছেন।
এখন বিসিবির নতুন সভাপতি স্থির করা হবে। বিসিবির বাদবাকি পরিচালকরা পদত্যাগ করবেন কিনা- সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। সভা শেষে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
চলতি মাসে শুরুতে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা আছেন আত্মগোপনে।
পাপনও তাই ছিলেন। শেষ আড়াই সপ্তাহ তার দেখা নেই বিসিবিতে। সঙ্গে অনেক বিসিবি কর্তাও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ছিলেন আত্মগোপনে।
শেষ কয়দিন ধরে গুঞ্জন ছিল পাপন বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে চলেছেন। অবশেষে সে গুঞ্জনটা বাস্তবে রূপ নিল। আজ বিসিবি সভায় সভাপতির পদটা আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়লেন পাপন।
এর ফলে বিসিবিতে তার প্রায় এক যুগ দীর্ঘ শাসনামলের অবসান ঘটল। ২০১৩ সালে বিসিবি কর্তার পদে এসেছিলেন তিনি। আজ বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের বৈঠকে নিজের পদত্যাগ নিশ্চিত করেন নাজমুল হাসান পাপন। এর মাধ্যমে বিসিবিতে পাপন অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন পান তিনি। ২০১৩ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ফের সভাপতি হন। ২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করন পাপন।
এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন। তারপর পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হন।