এমন দায়িত্ব পালন করতে হবে জানলে বিশ্বকাপেই যেতেন না সুজন
বিশ্বকাপ সফরে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন আক্ষেপ প্রকাশ করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে তাকে কোনো প্রকার প্রযুক্তিগত বা ক্রিকেটীয় দায়িত্ব দেওয়া হছে না- এই বিষয়টি বোঝার পরেই এই কথাটি বলেছেন তিনি।
দলের সঙ্গে ভ্রমণ করা আর ঘুরে বেড়ানো বাদে এখন অন্য কোনো কাজ নেই সুজনের হাতে। আসর শুরুর সময় কোচ হাথুরুসিংহে বলেছিলেন যে, তিনি (সুজন) ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ভালো আছেন, তবে তিন সপ্তাহ পরে দিল্লিতে এসে এখন সুজন অন্যরকম অনুভব করছেন।
সুজন বলেন, “বিসিবি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি সেটাই পালিন করছি। নির্বাচক হিসেবে আগের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আমার নেই। সর্বদাই চেষ্টা করেছি দলের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে। তবে এবার আমার কোনো ক্রিকেটীয় ভূমিকা নেই। প্রথমত, আমি এই ভূমিকায় থাকতে চাই না। আমার রক্তে ক্রিকেট আছে। কোচিং আমার পেশা। তবে আমি বাংলাদেশ দলের কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত নই।”
বিশ্বকাপের ঠিক পূর্বে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজটির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি স্বীকার করেন যে দলের প্রস্তুতি ভালো ছিলো না।
“আমি জানিনা আমার মাথায় ঠিক কি চলছিলো যখন আমি এটা বলেছিলাম যে বাংলাদেশ দল এবার সেমিফাইনাল খেলবে। সম্ভবত আমি খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা ও খেলার ধরণ দেখেই এটা বলেছিলাম এবং ভেবেছিলাম যে ভারতের মাটিতে তারা ভালো করবে। আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার খুবই খারাপ লাগছে, মানসিকভাবে লড়ার ক্ষমতাও আমার নেই।”
এবারের বিশ্বকাপে আনুষ্ঠানিকভাবে সেমির দৌড় থেকে বাদ পড়া প্রথম দলটি হলো বাংলাদেশ। সেমিতে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে আসা দলটির যে এইরকম করুণ পরিণতি হবে এটা কেউ কল্পনাও করেনি। প্রথম ম্যাচ জিতে স্বপ্ন দেখানো টাইগাররা এরপর টানা ছয়টি ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ অনুভব করেছে। এ সম্পর্কে সুজন বলেন, “আগামী দুই ম্যাচে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে। আমাদের খেলোয়াড়েরা ভালো মেজাজে নেই। কষ্ট তারাও পাচ্ছে। আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। দল হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি। তারা (খেলোয়াড়েরা) মনে করে যে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ড্রেসিংরুম বেশ নির্জীব হয়ে গেছে। আমরা এখানে ভালো দল হিসেবে এসেছি, কিন্তু দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারিনি।”
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য বাংলাদেশকে যেকোনো মূল্যেই পয়েন্ট টেবিলের প্রথম আট দলের মধ্যে থাকা লাগবে। আপাতত সেটি নিয়েই দল বেশি চিন্তিত এবং কিভাবে আরেকটু এগিয়ে যাওয়া যায় সেটি ভেবেই নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে খেলতে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।
