একাধিক কীর্তির ম্যাচে মুশফিকের ৯ রানের আক্ষেপ 

একাধিক কীর্তির ম্যাচে মুশফিকের ৯ রানের আক্ষেপ 

রাওয়ালপিন্ডিতে যেন একের পর এক রেকর্ড করতেই নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শুরুতে গতকাল (শুক্রবার) টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে এসে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে পূর্ণ করেন ১৫ হাজার রানের মাইলফলক। 

পরে চতুর্থ দিনেও শুরুটাও করলেন আরেক কীর্তি দিয়ে। টেস্ট ক্যারিয়ারে তোলেন নিজের ১১তম সেঞ্চুরি। যার মধ্যে ৫টিই বিদেশের মাটিতে, যা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের সর্বোচ্চ। তবে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপটা থেকে গেল ৯ রানের। ডাবল সেঞ্চুরির একদম দুয়ারে এসে মুশফিক ফিরলেন ১৯১ রান করে। 

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও মুশফিকেরই। এবার রাওয়ালপিন্ডিতে এগোচ্ছিলেন চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই। তবে দলীয় ৫২৮ রানের মাথায় উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। ৩৪১ বলে ১৯১ রানের তার দারুণ এই ইনিংসে আছে ২২টি চার ও একটি ছক্কার মার। 

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৫৩০ রান। সেখানে সফরকারীরা এগিয়ে আছে ৮২ রানে। 

পাকিস্তানের মাটিতে এটি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এমনকি দেড় শ রান পেরিয়েছে কেবল এই মুশফিকের ইনিংসই। এর আগে ২০০৩ সালের পাকিস্তান সফরে সর্বোচ্চ ১১৯ রান করেছিলেন জাভেদ ওমর। ২১ বছর পর সেই রেকর্ড এখন মুশফিকের দখল। এবং  এই ২১ বছরে এটিই পাকিস্তানের মাটিতে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি।

১৯১ রানের নান্দনিক এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে আরও একটি রেকর্ডের দুয়ারে পৌঁছে গেলেন মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিমের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে মুশফিকের আর প্রয়োজন স্রেফ ৩৩ রান।

সম্পর্কিত খবর