রেকর্ড গড়ে ৫৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রীতিমত রানের পাহাড় দাঁড় করাল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মুশফিকের সেঞ্চুরি এবং চার ফিফটিতে ১৬৭ ওভার ৩ বলে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫৬৫ রান। যা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো মাটিতে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
প্রথম ইনিংস শেষে স্বাগতিকদের চেয়ে ১১৭ রানে এগিয়ে থাকল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যেখানে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রান করেছেন মুশফিক। এছাড়া সাদমান ৯১, মিরাজ ৭৭, লিটন ৫৬ এবং মুমিনুল করেছেন ৫০ রান।
এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই একটি ম্যাচেই ড্র করেছে সাকিব-মুশফিকরা। এবার ৯ বছর পর রাওয়ালপিন্ডিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে এই টেস্টটি সম্ভাব্য যাচ্ছে ড্রয়ের দিকেই।
এদিকে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষদিকে এসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। সেখানে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। এছাড়া সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান এবং সাইম আইয়ুবের ব্যাটে আসে ৫৬ রান। সেখানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল এবং হাসান, একটি করে নিয়েছেন সাকিব ও মিরাজ।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৫৩ রানের মধ্যেই উইকেট হারায় জাকির ও অধিনায়ক শান্তর। তবে তিনটি বড় জুটিতে চড়ে রান পাহাড়ে চড়ে যায় সফরকারীরা। শুরুতে চাপ সামলে মুমিনুলকে নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়েন সাদমান। পরে ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক এবং লিটনের জুটি থেকে আসে ১১৪ রান এবং সপ্তম উইকেটে মুশফিক ও মিরাজের জুটি থেকে আসে ১৯৬ রান।
এতেই শত রানের লিড পেরিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত থামে ৫৬৫ রানে। সেখানে স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নাসিম শাহ। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন শাহিন, আলী ও খুররম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
পাকিস্তান, ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ ডি. (১১৩ ওভার) (রিজওয়ান ১৭১*, শাকিল ১৪১, সাইম ৫৬; হাসান ২/৭০, শরিফুল ২/৭৭)
বাংলাদেশ, ১ম ইনিংস: ৫৬৫/১০ (১৬৭.৩ ওভার) (মুশফিক ১৯১, সাদমান ৯৩, মিরাজ ৭৭, লিটন ৫৬, মুমিনুল ৫০; নাসিম ৩/৯৩)