হাথুরুকে কাঠগড়ায় উঠানো হবে নাকি আবারও পার পেয়ে যাবেন?
ব্যর্থতার কারণ দর্শানো কিংবা জবাবদিহি বলতে একটা শব্দ আছে। সেটার প্রয়োগ এদেশের ক্রিকেটে আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। সে আরো জোরালো হবে বিশ্বকাপের পর কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে বিসিবি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটার ওপর ভিত্তি করে।
ইতিমধ্যে বিশ্বকাপে খারাপ খেলার কারণে বিশ্বকাপের মাঝপথেই অ্যাকশনে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। সামালোচনার মুখে দায়িত্ব ছেড়েছেন বোর্ড সচিব মোহন ডি সিলভা। তার আগেই অবশ্য দেশটির ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি সম্প্রতি একটা বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে তারা বলেছে এমন পারফরম্যান্সের পর তারা যেমন হতাশা, তেমনি চেয়েছে জবাবদিহিতাও।
সেই বিবৃতির মূল বক্তব্য এমন যে সব ধরনের স্বাধীনতা দেওয়ার পরও বড় আসরে এই ভরাডুবির কারণ কী? কোচিং স্টাফ এবং নির্বাচকদের কাছে চাওয়া হয়েছে উত্তর। সেই সাথে বাতলে দিতে হবে উত্তরণের পথ। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা চাকরিও হারাতে চলছেন।
একই ধরনের স্বাধীনতা বিসিবিও কোচ-ক্যাপ্টেন-নির্বাচক তথা টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে থাকে। এটা শুধু এবারই নয়। প্রতিবারই। কম বেশি প্রায় প্রতিটা বড় আসরে ফলাফল একই হলেও নেওয়া হয় না জবাবদিহিতা।
বাংলাদেশ কাটাচ্ছে নিজেদের ইতিহাসের সবচাইতে খারাপ বিশ্বকাপ আসর। এখন প্রশ্ন আসে বিসিবির কী এবার টনক নড়বে? নাকি পার পেয়ে যাবেন হাথুরুসিংহে-সহ বাকীরা। হাথুরুর এই খামখেয়ালি চলতেই থাকবে নাকি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাকে!