অবিশ্বাস্য জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান
প্রথম ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ড যখন পাকিস্তানের সামনে রানের পাহাড়ই তুলে দিয়েছিল রীতিমতো, তখন কে ভেবেছিল ৪০১ রান তাড়া করে ফেলবেন বাবর আজমরা? শেষমেশ পাকিস্তান করে দেখাল তাই। না, ঠিক ৪০১ রানই তাড়া করে ফেলেনি। তবে যা করছিল, তাতে তারা তাড়া করার পথেই ছিল। তাই তো বৃষ্টি যখন নামল দুই দফায়, দুবারই এগিয়ে ছিল সেই সময় প্রয়োজনীয় লক্ষ্য থেকে। সে কারণেই বৃষ্টি যখন থামল না একেবারে, জয়টা গেল পাকিস্তানের ঝুলিতে। ২১ রানে জিতে বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনাটাও টিকিয়ে রাখলেন বাবররা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে পাকিস্তান বোলিংটা ভালো করেনি মোটেও। রাচীন রবীন্দ্র থেকে শুরু করে শেষের মিচেল স্যান্টনার পর্যন্ত, ক্রিজে এসেছেন যিনি, রান করেছেন তিনিই। নিউজিল্যান্ড তোলে ৪০১ রানের পাহাড়।
জবাবে পাকিস্তান শুরুতেই খুইয়ে বসে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট। তবে এরপরই বাবরকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি আক্রমণ শুরু করেন ফখর। পাকিস্তান প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ করে ৭৫ রান তুলে।
পাওয়ারপ্লে শেষেও ফখর ছিলেন আগের মতোই ক্ষুরধার। সেঞ্চুরিটা তুলে নেন ৬৩ বলে। পাকিস্তান ২১.৩ ওভারে তুলে ফেলে ১৬০ রান। এরপরই অবশ্য ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি।
বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলো আবার। তবে বেশিক্ষণ নয়, আর চার ওভার খেলা হলো। তবে এ সময়ই পাকিস্তান তুলল আরও ৪০ রান। এরপর আবারও নামল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি থামল না আর। একেবারে কাট অফ টাইম পারই হয়ে গেল রীতিমতো। পাকিস্তান ম্যাচটা জিতল শেষমেশ ২১ রানে।
এই জয়ের ফলে পাকিস্তানের সেমির আশাও টিকে রইলো বেশ করে। শেষ ম্যাচে ইংলিশদের হারাতে হবে বাবরদের। আর ওদিকে নিউজিল্যান্ড আর আফগানিস্তানকেও হারতে হবে বাকি ম্যাচগুলো। তাহলেই শেষ চারে চলে যাবে বাবর আজমের দল।