বিসিবিকে সাকিবের ধন্যবাদ, খেলছেন দ্বিতীয় টেস্টে
সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব আল হাসান খেলছেন পাকিস্তানে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট। হত্যা মামলা হয়েছিল সাকিবের বিরুদ্ধে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উকিল নোটিশও গেছে বিসিবির কার্যালয়ে।
তার জবাবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ স্পোর্টস বাংলাকে জানিয়েছেন, 'সাকিবকে এখনই ফিরিয়ে আনার কোনো কিছু নেই। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও খেলবে সে। তার মামলাটা এখন পর্যন্ত কেবল এফআইআর (ফাস্ট ইনফরমেশেন রেকর্ড) এর পর্যায়ে আছে। আর যেহেতু সাকিব আল হাসান বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, তাই এই পর্যায়ে বিসিবি তাকে সব ধরনের আইনগত সহযোগিতা দেবে। সেই সূত্রে এর মধ্যে তার দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে তার কোনো অসুবিধা নেই।’
বিসিবির এই সিদ্ধান্তের পর সাকিবও নিশ্চয়ই এখন আরো নিশ্চিন্ত হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে এখন তিনি আরো নির্ভার মনে খেলতে পারবেন। এদিকে পাকিস্তানে সিরিজ শেষেই সাকিব দেশে ফিরছেন না। তিনি চলে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে। সেখানে সাকিব সারে কাউন্টিতে খেলবেন। আর কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার জন্য সাকিব দু’সপ্তাহ আগে থেকেই বিসিবির কাছে ছুটি চেয়েছিলেন। তার সেই ছুটি বা এনওসি বিসিবি তখনই অনুমোদন করে দিয়েছিল।
তখনো অবশ্য বোর্ডে বিসিবির সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেননি। এই প্রসঙ্গে ফারুক বললেন, ‘সাকিব ক্রিকেট খেলার জন্যই বিসিবির কাছে ছুটি নিয়েছিল। তাই আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না। তার সেই ছুটি তো আগেই অনুমোদিত হয়েছে। এখন নিশ্চয়ই আমরা এই বিষয়ে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিবো না।’
পাকিস্তান সিরিজ শেষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারত সফরে যাবে টি- টোয়েন্টি এবং দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে। সেই সিরিজেও সাকিব দলে নির্বাচিত হলে ইংল্যান্ড থেকেই সরাসরি ভারত সফরে যাবেন।
হত্যা মামলার পরে বিসিবি সাকিবের প্রতি যে সমর্থন জানিয়েছে তাতে এই অলরাউন্ডার নিজেও সন্তুষ্ট। একটি সূত্র স্পোর্টস বাংলাকে নিশ্চিত করেছে, বিসিবির নতুন বোর্ডকে সাকিব কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধন্যবাদ বার্তাও পাঠিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩০ আগস্ট। বুধবার এই টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল ইসলামাবাদ ক্লাবে অনুশীলনে নামবে।