শুভ জন্মদিন চিকু, এভাবেই ব্যাটের ছন্দে মাতিয়ে রাখুন!
জীবন সুন্দর, রোমাঞ্চকর, এমন কী রহস্যময়ও। কে জানতো স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফিরোজ শাহ কোটলার গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দেখা সেই ছোট্ট ছেলেটিকে, এক সময় শচীনের সঙ্গেই তুলনা করা হবে?
যারা প্রতিমুহুর্তে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে জানেন তাদের পায়ের কাছেই তো হাজির হয়ে যায় সাফল্যের সপ্তম স্বর্গ! বিরাট কোহলি তেমনই একজন। ক্রিকেটটাকে সেই প্রেমিকের মতো সারাজীবন আগলে রেখেছেন, যে নিজের প্রেমিকার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতেও রাজি। তাইতো ক্রিকেট বিধাতা দুই হাত ভরে তাকে দিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের সবটুকু।
বিরাটের বাবার ইচ্ছে ছিল, তার ছোট চিকু হবেন একজন নামকরা ক্রিকেটার। বাবাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন তিনি। তাইতো বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ক্রিকেটটাকে জীবনের প্রথম প্রাধান্য মেনে নেন বিরাট।
বিরাট কোহলি ২০০৬ সালে রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম দিনই ছিলেন ৪০ রানে অপরাজিত। ওই দিন ম্যাচ শেষে বাড়ি ফিরতেই ভোর রাতে মারা যান বাবা প্রেম কোহলি। বাবাকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই পর দিনই সকালে ফের ব্যাট করতে গিয়েছিলেন বিরাট এবং ৯০ রানের এক ইনিংস খেলে চাপে থাকা দলকে দেখিয়েছিলেন পথ।
আন্তর্জার্তিক ক্রিকেটে পা ২০০৮ সালে। পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ক্ষুধার্ত বাঘের মতো রান করার নেশা কিংবা নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাওয়ার নেশা বিরাটকে করেছে অনন্য, অতুলনীয়। আচ্ছা বলুন তো ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০০০০ হাজারেরও বেশি রান করা এমন কোনো ব্যাটার আছে কি যার গড় ৫০ এরো বেশি। না নেই! এমন যুক্তি তুলে ধরে কোহলিকে সর্বকালের সেরা ব্যাটার বলাই যায়!
জীবনের ইনিংসেও সফল বিরাট। গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউডের অন্যতম তারকা আনুশকা শর্মার সঙ্গে। চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ইতালির তাসকেনি প্রদেশের ফ্লোরেন্সে এক ঐতিহ্যবাহী রিসোর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
১৯৮৮ সালের ৫ নভেম্বর দিল্লীতে জন্ম। আজ তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বিরাট; গোটা বিশ্বকে এভাবেই ব্যাটের ছন্দে মাতিয়ে রাখুন!