সাকিব-হাথুরু প্রসঙ্গে যা বললো বিসিবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের অধীনে হয়ে গেল প্রথম বোর্ড মিটিং। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকেই গণমাধ্যম কর্মীরা অপেক্ষায় ছিলেন এই সভা শুরু হওয়ার। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই মিটিংয়ে কথা বলেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।
এই মিটিংয়ের মূল আকর্ষণ ছিল সাকিব আল হাসানের বিষয়ে বোর্ড কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা। এছাড়াও বিসিবির এই ১২তম সভায় আলোচনা করা হয় অডিট ফার্ম গঠন, পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল, বিপিএল নিয়ে আলোচনা, ত্রাণ কর্মসূচি, থার্ড ডিভিশন কোয়ালিফাইং রিভাইভ করা, জমি ক্রয় ও জায়গা পরিদর্শনসহ আরও কিছু বিষয়।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বিগত কয়েকদিন ব্যাপক আলোচনায় আছেন বাংলাদেশের এই পোস্টার বয়। তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটি যেহেতু আর এগোয়নি, বিসিবিও তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি।
ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘তাকে (সাকিবকে) কাউন্টিতে খেলতে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। ভারত সিরিজ সে বাইরে থেকেই খেলবে, সিরিজ শেষ হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’
অর্থাৎ বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন সাকিব। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তদন্ত করার যে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল সেটির জবাবও দিয়েছে বোর্ড। আপাতত পাকিস্তানে চলমান টেস্ট সিরিজেই সাকিবের মনোযোগী হওয়া উচিত। মামলা সম্পর্কিত চিন্তার প্রভাব সাকিবের মাঠের খেলাতে পড়বে না এমনটাই আশা করে ম্যানেজমেন্ট।
হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে আপাতত সিদ্ধান্ত জানাতে রাজি নন সদ্য সভাপতির দায়িত্বে বসা ফারুক আহমেদ। চলমান পাকিস্তান সিরিজের পর কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আপাতত পাকিস্তানের মাটি থেকে তাদেরই হারিয়ে সিরিজ জয়ের শিরোপা ঘরে আনতে মরিয়া বাংলাদেশ।
আত্মগোপণে থাকা টিম ডিরেক্টরদের নিয়ে আজ সঠিক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিসিবি। আরও বেশ কয়দিন সময় লাগবে। তবে বোর্ডে এই মুহুর্তে যারা কর্মরত বা সচল আছেন, তাদের দিয়েই আপাতত শূন্যস্থানগুলো পূরণ করা হবে।
এছাড়াও ভারতের মাটিতে হওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল কেন ব্যর্থ ছিল, সে সম্পর্কে তদন্ত করেছে বোর্ড। সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ফারুক আহমেদের অধীনের বোর্ড সেই রিপোর্টও জনসম্মুখে আনবে, এমনটা আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই।