পূর্বাচল স্টেডিয়ামে নৌকার আকৃতি থাকবে না, জানালেন ফারুক

পূর্বাচল স্টেডিয়ামে নৌকার আকৃতি থাকবে না, জানালেন ফারুক

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আজ পূর্বাচল স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান, ইফতেখার আহমেদ, নাজমূল আবেদীন, ফাহিম সিনহা, কাজী ইনাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

স্টেডিয়ামের নাম হওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট’। সে নামটা থাকছে না আর, বিষয়টা নিশ্চিত ছিল। এবার ফারুক জানালেন, নৌকার আকৃতিও থাকবে না স্টেডিয়ামে। 

পূর্বাচলের এই স্টেডিয়ামের জন্য সাড়ে ৩৭ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। তা পরিদর্শনে গিয়ে ফারুক জানান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে দুটি খেলার মাঠ বানানো হবে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ইচ্ছা ছিল মাঠগুলোর উন্নতি। নতুন মাঠও যদি করতে পারি, সেটা নিয়েও চিন্তা করছিলাম। যেহেতু এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা, এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা ছিল। এখন এটাকে আমরা যত দ্রুত মাঠের কাঠামোতে রূপ দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। আমাদের যে মাঠগুলোর উন্নতি করার কথা, সেগুলোর সঙ্গে এটা যোগ হবে।’

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের যে বিশাল রূপ নেওয়ার কথা, এখনই সেটা হচ্ছে না, এমন এক ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে যাব। এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এত বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট—অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।’

এই মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগ সরকারের দুটো প্রধান বিষয়। শেখ হাসিনা, যা আছে স্টেডিয়ামের নামে, আর প্রতীক নৌকা, যা ছিল স্টেডিয়ামের আকৃতিতে। এসব এই স্টেডিয়ামে থাকবে কি না এখন, সে বিষয়ে ফারুকের ভাষ্য, ‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নেই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।’ এরপর তিনি নাম বদলানোর বিষয়ে বলেন, ‘এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।’

সম্পর্কিত খবর