পিসিবির হল অব ফেমে আনোয়ার-ইনজামাম-মিসবাহরা
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তৃক গঠিত হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পাকিস্তানের চার কিংবদন্তি ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, মুশতাক মোহাম্মদ এবং সাঈদ আনোয়ারের নাম। ২০২১ সাল থেকে পিসিবি হল অব ফেম ঘোষণা করা শুরু করেছিল। এর আগে আরও ১০ জনকে হল অব ফেম ঘোষণা করেছিল পিসিবি।
এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া চার তারতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তখন তাদের স্মারক ক্যাপ এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা ফলক প্রদান করা হবে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মহসিন নাকভি বলেন,’পাকিস্তান ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য তাদের হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়েছে। তাদের সকলকে অভিনন্দন।’
ইনজামাম ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ১২০ টেস্ট, ৩৭৮ ওডিআই এবং একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তার নামের পাশে আছে ৮৮৩০ টেস্ট ও ১১,৭৩৯ ওডিআই রান। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি দুবার পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেন।
২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মিসবাহ ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক। । ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে আইসিসি টেস্ট টিম র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে নিয়ে আসেন তিনি। ২০০৯ সালের আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন এই ক্রিকেটার। মিসবাহ ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯-২০২০ সালে প্রধান নির্বাচকও ছিলেন।
মুশতাক তখনকার সময়ে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে মাত্র ১৫ বছর বয়সে টেস্টে অভিষিক্ত হন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন মুশতাক। পাকিস্তানের হয়ে ৫৭ টেস্ট ও ১০ ওডিআই খেলেন তিনি। পাশাপাশি ইংল্যান্ডে ১৯৭৫ সালের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন।
অন্যদিকে, আনোয়ার ১৯৮৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট, ২৪৭ ওডিআই খেলেছেন। ১৯৯৬, ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি অর্ধশতকসহ মোট ৩১টি সেঞ্চুরি এবং ৬৮টি অর্ধশতক করেছেন এই ওপেনার।