দ্বিতীয় সেশনটা বাংলাদেশের

দ্বিতীয় সেশনটা বাংলাদেশের

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল এক উইকেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোল্ড করে আবদুল্লাহ শফিককে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। এরপর সেশনের বাকি সময়ে চলে পাকিস্তানি ব্যাটারদের আধিপত্য। তবে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোটাই নিজেদের দখল নেয় বাংলাদেশ। মিরাজ-সাকিবদের স্পিন নৈপুণ্যে বিধ্বস্ত হয় স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। এতে চা বিরতিতে যাওয়া আগেই সাজঘরে পাড়ি জমিয়েছে পাকিস্তানের অর্ধেক দল।

দ্বিতীয় সেশন শেষে ৫৫ ওভারে ৫ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৮৩ রান। ১৮ রানে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আরেক ব্যাটার সালমান আলী আঘা এখনো খুলেননি রানের খাতা।

প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। এতে দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রান যোগ করতেই চার উইকেট হারিয়েছে শান মাসুদের দল।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকদের শুরুতেই ধাক্কা দেন তাসকিন। ১৪ মাস পর টেস্টে ফিরে ইনিংসের প্রথম ওভারেই শেষ বলে দারুণ এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে। পরে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবকে নিয়ে চাপ সামলে দারুণ ছন্দে এগোতে থাকেন শান মাসুদ।

সেই জুটি এগোতে থাকে বিশালের দিকেই। অবশেষে ২৮তম ওভারে মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরান অধিনায়ক মাসুদ। সেখানে রিভিও নিয়েও বাঁচেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। তিনি ফিরেছেন ৫৭ রান করে। এতে ভেঙেছে দ্বিতীয় উইকেটে মাসুদ-সাইমের ১০৭ রানের জুটি।

এর কিছুক্ষণ বাদে আরেক সেট ব্যাটার সাইমকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নামা এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ৫৮ রান। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিফটির পরপরই ফিরলেন সাইম।

পরের দলীয় ১৫১ রানের মাথায় তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিল। এই উইকেটও বোল্ড করেই নেন তিনি। সেশনের শেষ উইকেটটি আসে সাকিবের নৈপুণ্যে। লেফ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে বাবর করেন ৩১ রান।

সম্পর্কিত খবর