২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান, ফাইফার মিরাজের

২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান, ফাইফার মিরাজের

রাওয়ালপিন্ডিতে দিনের প্রথম সেশনটা ছিল পাকিস্তানের। তবে পরের দুই সেশনেই চালকের অবস্থানে থাকল শান্ত-মিরাজরাই। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো এবারও স্বাগতিকদের স্পিন জুজুতে ভোগাল সফরকারীরা। মিরাজের ফাইফারে ৮৫ ওভার ১ বলে ২৭৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

এটি লাল বলের ক্রিকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের ১০ম ফাইফার। বিদেশের মাটিতে এটি তৃতীয়। ২২ ওভার ১ বলে ফাইফার তুলতে এই অফ ব্রেক স্পিনার খরচ করেছেন ৬১ রান। এদিকে প্রায় ১৪ মাস পর ফিরে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। এই ডানহাতি পেসার নিয়েছেন তিন উইকেট।

পিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। এতে টেস্টটা কার্যত শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে এসে। সেখানে টসে জিতে ঠিক প্রথম টেস্টের মতো এবারও আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে দিনের শুরুতেই স্বাগতিকদের শুরুতেই ধাক্কা দেন তাসকিন। ১৪ মাস পর টেস্টে ফিরে ইনিংসের প্রথম ওভারেই শেষ বলে দারুণ এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে। পরে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবকে নিয়ে চাপ সামলে দারুণ ছন্দে এগোতে থাকেন শান মাসুদ। সেই জুটি এগোতে থাকে বিশালের দিকেই। অবশেষে ২৮তম ওভারে মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরান পাকিস্তান অধিনায়ক। সেখানে রিভিও নিয়েও বাঁচেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। তিনি ফিরেছেন ৫৭ রান করে। এতে ভেঙেছে দ্বিতীয় উইকেটে মাসুদ-সাইমের ১০৭ রানের জুটি।

এর কিছুক্ষণ বাদে আরেক সেট ব্যাটার সাইমকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নামা এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ৫৮ রান। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিফটির পরপরই ফিরলেন সাইম। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিল। এই উইকেটও বোল্ড করেই নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় সেশনের একদম শেষদিকে সাকিবের বলে লেফ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে বাবর করেন ৩১ রান।

তৃতীয় সেশনেও স্বাগতিকদের স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি সফরকারী বোলাররা। দলীয় ২১১ রানের মাথায় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথম উইকেট নেন নাহিদ রানা। বাকি চার উইকেটের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সালমান আলী আঘার উইকেট। ফিফটির পূরণের আগেই এই ব্যাটারের তিনটি ক্যাচ মিস করেন জাকির, মুমিনুল, মিরাজরা। অবশেষে সেই ভুল করেননি সাকিব। ২৭৪ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ফেরেন সালমান। তার ব্যাটে আসে ৫৪ রান। এর ঠিক পরের বলেই ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে ফাইফারের আনন্দে ভাসেন মিরাজ।

সম্পর্কিত খবর