রেকর্ডের খাতায় শচীনকে ছাড়িয়ে যাবেন বিরাট
ভারতের ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ বলে মান্য করা হয় শচীন টেন্ডুল্কারকে। কিন্তু সেই উপাধি হয়তো শীঘ্রই নিজের করে নিবেন বিরাট কোহলি। বর্তমান ফর্ম ও পরিসংখ্যান বিবেচনায় শচীনের খুব কাছাকাছি রয়েছেন বিরাট, এই ধারা অব্যাহত থাকলে তার ক্রিকেটগুরুকেও ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপ আসরেই শচীনের ওয়ানডে ক্রিকেটে করা ৪৯টি শতকের অনন্য রেকর্ড ভেঙে দেবেন বিরাট, এমনটাই আশা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং বিশ্লেষকেরা। এই বিষয়ে সুনীল গাভাস্কার বলেছেন , ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সেই নিজের ৫০তম শতরান করবে বিরাট। কারণ সে দিন বিরাটের জন্মদিন। তাই শচীনকে টপকে যাওয়ার জন্য এর থেকে ভালো মঞ্চ আর সুযোগ হতে পারে না। কলকাতায় দর্শকের সামনে এই শতকের আনন্দও অনেক বেশি।’ এক দিনের ক্রিকেটে বিরাটের শতরানের সংখ্যা ৪৮ টি। ইডেনে শচীনকে টপকাতে না পারলেও তাঁর সমান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বিরাটের হাতে।
এক দিনের ক্রিকেটে শচীনের মোট রান সংখ্যা ১৮,৪২৬। এর জন্য তিনি খেলেছেন ৪৫২ ইনিংস। অপরদিকে বিরাটের বর্তমান রান সংখ্যা ১৩,৫২৫। তিনি খেলেছেন ২৭৭ টি ইনিংস। বিরাটের গড় সেই হিসেবে শচীনের থেকেও বেশি, তাঁর ক্যারিয়ারেও এখনো বাকি রয়েছে আরও কয়েক বছর। ফর্ম ও পারফরম্যান্স ধরে রেখে শচীনের সমপরিমাণ ম্যাচ যদি বিরাট খেলেন তাহলে শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর কাছে।
শচীন ও বিরাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর খেলেছেন। একদিনের ক্রিকেটে ১৭টি ম্যাচ তাঁরা একসঙ্গে খেলেছেন। সেই ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান হিসেব করলে শচীনের ব্যক্তিগত মোট রান ৮৩৫,বিরাটের ১১৫৯ (এর মাঝে বিরাটের রয়েছে চারটি শতক)। ৩১টি টেস্ট ম্যাচ তাঁরা একসঙ্গে খেলেছিলেন। এই ফরম্যাটে শচীন কিছুটা এগিয়ে আছে বিরাটের থেকে। শচীন ১৩৫২ রান এবং বিরাট করেছিলেন ১৩৪৭ রান। যদিও গড় (৫১.৮০) বেশি বিরাটের। দু’জনেই আবার ওই টেস্টগুলোতে পাঁচটি করে শতরান করেছিলেন।
‘ক্রিকেট বদলে গিয়েছে। পিচ এখন অনেক ভাল। এখন ক্রিকেটে এমন অনেক শট খেলা হয়, যা আগে দেখাই যায়নি। তাই শচীনের সঙ্গে বিরাটের তুলনা করাই সম্ভব নয়। আলাদা প্রজন্ম, আলাদা যুগ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এসেছে। তাই দুটো আলাদা যুগের ক্রিকেটারের তুলনা করা সম্ভব নয়।’- এমনটাই বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তী পেস বোলার ওয়াকার ইউনুস।