এখনও ফলো অন এড়ানো হয়নি বাংলাদেশের
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের স্কোর ২৭৪। বাংলাদেশকে ফলো অন এড়াতে করতে হবে নিদেনপক্ষে ৭৫, মনে করা হচ্ছিল এমনই। মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে ৭৫ রানে যখন দলকে পৌঁছে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর লিটন দাস মিলে, তখন মনে করা হচ্ছিল ফলো অন বুঝি এড়িয়েই গেছে বাংলাদেশ। তবে সে ধারণা ছিল ভুল। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও ফলো অন এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তার কারণ এমসিসির নিয়ম।
কী সেই নিয়ম? ক্রিকেটের নিয়ম নীতি নির্ধারক প্রতিষ্ঠান এমসিসির ১৪.১.২ আইনে বলা হয়েছে সেটা। ম্যাচের দৈর্ঘ্য পাঁচ দিন হলে প্রথমে ব্যাট করা দল ২০০ বা তার বেশি রানের লিড হলে ফলো অন করাতে পারে। তবে ম্যাচের দৈর্ঘ্য যদি নেমে আসে ৪ বা ৩ দিনে, তখন এই ব্যবধানটাও নেমে আসবে ১৫০ রানে। আর যদি ম্যাচের দৈর্ঘ্য হয় ২ বা ১ দিনের, তখন সে ব্যবধানটা ১০০ হলেই ফলো অন করাতে পারবে আগে ব্যাট করা দল।
ম্যাচের দৈর্ঘ্য পাঁচ দিন হলেও যদি একটা পুরো দিন বৃষ্টিতে ভেসে যায়, তখনও এই একই নিয়ম মানা হবে বলে জানানো হয়েছে ১৪.৩ নম্বর অনুচ্ছেদে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা বৃষ্টির পেটে চলে গেছে। যার ফলে ম্যাচটা কার্যত ৪ দিনের ম্যাচে পরিণত হয়েছে। মূলত এ কারণেই ফলো অনের ব্যবধানটাও কমে গেছে। ৭৫ রান করেও তাই ফলো অন এখনও এড়ানো হয়নি বাংলাদেশের।
দলকে এমন হিসেবের খাতা খুলে বসতে বাধ্য করেছে ব্যাটারদের সকালের ব্যাটিং। তবে দুই পাক পেসার খুররম শেহজাদ আর মীর হামজার তারিফ না করলেও বেশ অন্যায়ই করা হবে। নিয়ন্ত্রিত আর পরিকল্পিত বোলিংয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের চাপে ফেলছিলেন দুজনে, তার সুফলটাও পেলেন। শেহজাদ ৪ আর হামজা ২ উইকেট নিয়ে রীতিমতো ধসিয়েই দিয়েছেন বাংলাদেশকে। দুই ওপেনার জাকির হাসান আর সাদমান ইসলামকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন শেহজাদ। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও শিকার বনেন তার।
মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানদের মতো অভিজ্ঞরাও ব্যর্থ হন এই ধস সামাল দিতে। যার ফলে এক পর্যায়ে ২৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। নিজেদের ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানে আর কখনোই ৬ উইকেট খোয়ায়নি বাংলাদেশ। তখন নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের শঙ্কাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। তবে এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ আর লিটন দাসের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ সে শঙ্কা তাড়ায়। এবার মিশন ফলো অন এড়ানোর। মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে ফিরে দুজন নিশ্চয়ই তাই করতে চাইবেন।