পিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টের নামার আগে লিটন দাস সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটা করেছিল ২০২২ সালের ২৩ মে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মিরপুরে সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করেছিলেন লিটন। রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান টেস্টে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসকে ছাপিয়ে যাওয়ার অনেকটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক। শেষ পর্যন্ত নতুন সেরা ইনিংস গড়া না হলেও দলের প্রয়োজনে নিজের সেরা কাজটা করে গেলেন লিটন। ফিরেছেন ১৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এতেই শুরুর ব্যাটিং ধস সামলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রানের।

এতে প্রথম ইনিংস শেষে নাজমুল হোসেন শান্তর দল পিছিয়ে থাকল ১২ রানে।

লিটন যেন ফেরালেন ২৭ মাস আগে মিরপুর টেস্টের সেই স্মৃতি। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। সেখানে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলেছিলেন লিটন। এবার পিন্ডিতেও ঠিক একই কাজটা করলেন, তবে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। 

দিনের শুরুতেই খুররম ও মীর হামজার পেস তোপে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখানে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে মিরাজে নিয়ে ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন লিটন। ৫০ রানের নিচে ইনিংসের ৬ উইকেটের পড়ে যাওয়ার পর টেস্টের ইতিহাসে ৭ম উইকেটে এটিই এখন সর্বোচ্চ জুটি। সেখানে মিরাজ ৭৮ রানে ফিরলেও একপ্রান্ত সামলে এগোতে থাকেন লিটন। 

পরে ১৭১ বলে লিটন তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রান করে আউট হন পার্ট-টাইম স্পিনার সালমান আলী আঘার বলে। ২২৮ বলে লিটনের এই নান্দনিক ইনিংস সেজেছে ১৩ চার ও ৪টি ছক্কার মারে। এদিকে হাসান মাহমুদের ইনিংসটাও বড় প্রশংসার দাবী। অপরাজিত থাকা এই টেল এন্ডার ব্যাটার করেছেন ৫১ বলে ১৩ রান। 

পাকিস্তানের হয়ে এই ইনিংসে দারুণ ছন্দে ছিলেন খুররম। টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফাইফার পাওয়া এই ডানহাতি পেসার নিয়েছেন ৬ উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মীর ও সালমান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড (তৃতীয় দিন*):

পাকিস্তান, ১ম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার) (সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭, সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১, তাসকিন ৩/৫৭)

বাংলাদেশ, ১ম ইনিংস: ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার ) (লিটন ১৩৮, মিরাজ ৭৮; খুররম ৬/৯০)