হাসানের ফাইফার, ইতিহাস গড়তে শান্তদের চাই ১৮৫ রান
রাওয়াপিন্ডিতে ইতিহাস গড়ায় একদম দুয়ারে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের মিরাজের চমকের পর এবার দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের পেস তোপে ভোগাল নাহিদ-হাসানরা। এতেই দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে। পিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের জন্য তাই বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়াল ১৮৪ রানের।
আগের দিনের শেষদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামা পাকিস্তানি ব্যাটারদের পেস তোপে ভুগিয়েছিলন হাসান মাহমুদ। ২ রানের ব্যবধানে নিয়েছিলেন জোড়া উইকেট। এবার চতুর্থ দিনে এসে আরও তিন উইকেট তুলে পৌঁছে গেলেন ফাইফারে।
এদিকে আরেক পেসার নাহিদ রানা নিয়েছেন ৪ উইকেট, বাকি এক উইকেট তাসকিনের। সব মিলিয়ে তাই দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সবগুলো উইকেট তুলেছেন বাংলাদেশের পেস ইউনিট।
জয়ের অর্ধেক কাজ বোলাররা করে দেওয়ার পর এবার বাকি কাজ কেবল ব্যাটারদের। স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রান তুলতে পারলেই টেস্টে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রাওয়ালপিন্ডিতে ২ উইকেটের ৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। সেখানে শুরুর চাপ সামলে আরও একবার থিতু হওয়ার পথেই এগোচ্ছিল শান মাসুদরা। তবে দলীয় ৪৭ রানের মাথায় ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ২০ রান। পরে ৩ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক মাসুদ ও সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন নাহিদ। এ নিয়ে পাকিস্তান সফরে দুই টেস্টে বাবর দু'বার আউট করলেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার।
এদিকে সাউদ শাকিলকেও টিকতে দেননি নাহিদ। দলীয় ৮১ রানের মাথায় এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরানোর মধ্য দিয়ে নিজের টানা তিন ওভারেই নাহিদ তোলেন ৩ উইকেট। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানো কিছুটা আভাস দিয়েছিল মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আঘার জুটি। তবে তাদের জুটি ভাঙল ৫৫ রান যোগ করে। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ফের উইকেটের ট্র্যাকে ফেরেন হাসান। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১৪৫ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে ৯ ব্যাটার। শেষ উইকেটে এসে ২৭ রান যোগ করেন সালমান-মীর মিলে। সেই জুটি ভেঙেই ফাইফার তোলেন হাসান।