বৃষ্টিতে শেষ চতুর্থ দিনের খেলা
শেষ পর্যন্ত দিনের শেষ সেশনে জয় বৃষ্টির। চা বিরতির পর খেলা হয়েছিল কেবল এক ওভারের। এর পরেই আলোক স্বল্পতার কারণে রাওয়ালপিন্ডিতে বন্ধ ছিল চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা। পরে বৃষ্টি নামলে শেষ পর্যন্ত দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করে আম্পায়াররা।
দিনের খেলা শেষের এই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪২ রান। সেখানে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ১৪৩ রান। হাতে আছে পুরো ১০টি উইকেটই। এবং সময় থাকল পুরো একদিন।
তবে টেস্টের শেষ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও জোরালো। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানানোর ওয়েবসাইট আকুওয়েদারের মতে, আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ এবং ঝড়ের সম্ভাবনাটাও ৪০ শতাংশ। এতে শেষ দিনে হতে পারে একটি বা দুইটি সেশন।
১৮৫ রানের লক্ষ্যটা সাধারণের কাতারের থাকলেও চতুর্থ ইনিংস সাপক্ষে একদম মামুলিও বলা যায় না। তবে জাকির যেভাবে শুরু করেছেন তাতে বলা যায়, লক্ষ্যটা এই তো কাছেই। টেস্টে জাকিরের শুরুটা পুরো টি-টোয়েন্টি ছন্দে। এখন পর্যন্ত জাকির ২৩ বলে অপরাজিত রয়েছেন ৩১ রান। সাদমান ব্যাট করছেন ৯ রানে।
এর রাওয়ালপিন্ডিতে ২ উইকেটের ৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। সেখানে শুরুর চাপ সামলে আরও একবার থিতু হওয়ার পথেই এগোচ্ছিল শান মাসুদরা। তবে দলীয় ৪৭ রানের মাথায় ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ২০ রান। পরে ৩ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক মাসুদ ও সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন নাহিদ। এ নিয়ে পাকিস্তান সফরে দুই টেস্টে বাবর দু'বার আউট করলেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার।
এদিকে সাউদ শাকিলকেও টিকতে দেননি নাহিদ। দলীয় ৮১ রানের মাথায় এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরানোর মধ্য দিয়ে নিজের টানা তিন ওভারেই নাহিদ তোলেন ৩ উইকেট। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানো কিছুটা আভাস দিয়েছিল মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আঘার জুটি। তবে তাদের জুটি ভাঙল ৫৫ রান যোগ করে। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ফের উইকেটের ট্র্যাকে ফেরেন হাসান। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১৪৫ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে ৯ ব্যাটার। শেষ উইকেটে এসে ২৭ রান যোগ করেন সালমান-মীর মিলে।
সেই জুটি ভেঙেই ফাইফার তোলেন হাসান। চারটি নিয়েছেন নাহিদ এবং একটি তাসকিন। এতেই প্রথমবারের মতো টেস্টে ইনিংসের ১০ উইকেট নিলেন বাংলাদেশি পেসাররা।