প্রথমবারের মতো টেস্টের এক ইনিংসের ১০ উইকেটই বাংলাদেশি পেসারদের

প্রথমবারের মতো টেস্টের এক ইনিংসের ১০ উইকেটই বাংলাদেশি পেসারদের

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং অংশটা সামলিয়েছেন স্পিনাররাই। এটার জন্য দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাদ দেওয়া আবরার আহমেদকে ফেরায় পাকিস্তান। তবে পিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ছিল বাংলাদেশি স্পিনারদের জয়জয়কার। সেটি অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজের সুবাদে। তার ফাইফারে গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকদের ব্যাটাররা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ফুল প্যাকেজ নিয়ে হাজির বাংলাদেশের পেসাররা। হাসান, নাহিদ ও তাসকিন মিলেই তুললেন ইনিংসের পুরো ১০ উইকেট।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশি পেসারদের ইনিংসের পুরো ১০ উইকেটে তোলার নজির এবারই প্রথম। আর এতে চড়েই ইতিহাসের একদম দুয়ারে পৌঁছেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তিন পেসারের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট ১৭২ রানে। এতে জয়ের জন্য বাংলাদেশ লক্ষ্য পেয়েছে ১৮৫ রানের। যা তুলতে পারলেই সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে যাবে সফরকারীরা।

পেসারের ১০ উইকেটের কীর্তি এই প্রথম হলেও এর আগে চারবার ইনিংসের ৯ উইকেট তুলেছিলেন বাংলাদেশি পেসাররা। যার মধ্যে সবশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারি, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে। সেখানে এবাদত-শরিফুল মিলে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট, বাকি একটি ছিল মিরাজের।

পেস নৈপুণ্যের কথা বললেন সবার আগে আসবে হাসান মাহমুদের নাম। অন্তত এই টেস্টের জন্য। প্রথমবারের মতো পেয়েছেন ফাইফার। সেটিও টেস্ট ক্যারিয়ারের কেবল পঞ্চম ইনিংসে এসেই। এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি পেসার নিলেন ফাইফার। এর আগে এই কীর্তি আছে আরও দু'জনের। তবে তারা দু'জনই স্পিনার। মোহাম্মদ রফিক এই কীর্তি গড়েছেন দুবার এবং এই টেস্টের ফাইফার পেয়েছেন মিরাজও।

এবার আসা যাক নাহিদ রানার প্রসঙ্গে। তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। সেটিও নিজের পঞ্চম টেস্ট ইনিংসে এবং এই প্রথম টেস্টের এক ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন এই ২১ বছর বয়সী তরুণ পেসার। এছাড়া এই ইনিংসেই ১৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে একটি বড় ছোঁড়েন নাহিদ, যা বাংলাদেশের পেস ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম।

তাসকিনের বিষয়টাও এক ক্ষেত্র বিশেষে টেনে আনা যায়। প্রায় ১৪ মাস পর টেস্টে ফিরলেন এই পেসার। ফিরে প্রথম ওভারেই নিয়েছেন উইকেট। সেই উইকেটসহ এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৩ উইকেট এবং দুই ইনিংস মিলিয়ে সেই সংখ্যা ৪।

পাকিস্তানি পেসারদের বিপরীতে বাংলাদেশের পেস ইউনিট কিছুটা আড়ালেই ছিল। সেখানে আবার প্রথম টেস্টের পর চোট পান শরিফুল। তবে ডানহাতি পেস ত্রয়ী হিসেবে হাসান-নাহিদ-তাসকিন মিলে যা করে দেখালেন তা অনায়াসেই দাবী রাখে টুপি খোলা প্রশংসার।

সম্পর্কিত খবর