বিশেষ পুরস্কারটা আন্দোলনের শহীদদের উৎসর্গ করলেন মিরাজ
পাকিস্তানের মাটিতে গড়া ইতিহাসের পথে দুই টেস্টে কুশীলবের চরিত্রগুলো বদলে গেছে। তবে দুই টেস্টে একটা চেহারা ছিল অবিচল। সে চরিত্রটা মেহেদি হাসান মিরাজের। এই ইতিহাস গড়ার পেছনে দুই টেস্টেই বড় অবদান রেখেছেন তিনি।
এই মঞ্চটা তার জন্য বিশেষ কিছু, সেটা তিনি অকপটেই স্বীকার করেছেন। দেশের বাইরে দল ঐতিহাসিক সিরিজ এক সিরিজ জিতেছে, এরপর তিনি হয়েছেন সেই সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। মেহেদি হাসান মিরাজ আনন্দে উদ্বেল হওয়ারই কথা।
সেটা তিনি প্রকাশ করেছেন সিরিজসেরার পুরস্কারটা নিতে এসে। বললেন, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু, কারণ এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে এসে সিরিজসেরা হলাম। আমার সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলোর মধ্যে এটা একটা।’
এই সিরিজ যখন খেলতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, তখনও জুলাই বিপ্লব পরবর্তী রেশে বাংলাদেশ উত্তাল। সে পরিস্থিতিটা সামাল দিয়ে উঠেছে দেশ। পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দল নিজেরা মানসিকভাবে এই পরিস্থিতিটা থেকে সেরে উঠেছেন।
এই পরমানন্দের মুহূর্তেও মিরাজ মাসখানেক আগে দেশের পরিস্থিতির কথা ভুলে গেলেন না। নিজের এই সিরিজ জয়টা উৎসর্গ করলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের। এখানেই শেষ নয়, তিনি জানালেন তার পুরস্কারের পুরো অর্থটা দিয়ে দিচ্ছেন আন্দোলনে শহীদ হওয়া রিকশাচালকের পরিবারকে।
দুই ম্যাচে এমন পারফর্ম্যান্সের পরে তিনিই ছিলেন সিরিজ সেরার যোগ্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি সেটা হয়েছেনও। পুরস্কার নিতে এসে মিরাজ বলেন, ‘দেশ অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় এক রিকশাচালক আহত হন, পরে তিনি মারা গেছেন। এই ম্যাচ সেরার অর্থ আমি তার পরিবারকে দিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই।’