প্রোটিয়াদের উড়িয়ে কোহলিকে প্রথম স্থান উপহার ভারতের
মঞ্চটা তৈরি করে গিয়েছিলে বিরাট কোহলি নিজেই। সেঞ্চুরি করেছেন নিজের ৩৫তম জন্মদিনে, আপাতদৃষ্টিতে সেটা একটু ধীরগতির বলেই মনে হচ্ছিল। বিরতির সময় সেটা বলেছেনও তিনি। তবে তার প্রমাণটা মিলল দ্বিতীয় ইনিংসে গিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা যেই না ব্যাট করতে নামল, তখন মনে হলো উইকেটটা বেশ মন্থর, বল গ্রিপ করছে। ভারতের ৩২৬ রান তাড়া করা তো দূর অস্ত, প্রোটিয়ারা রীতিমতো খাবিই খেল। ভারতীয় বোলারদের তোপে অলআউট হলো মাত্র ৮৩ রান তুলে। ভারত ম্যাচটা জিতল ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। কোহলির জন্মদিনে তাকে প্রথম স্থানটাই উপহার দিল ভারত।
উইকেটটা এমন আচরণ করবে, তা ইনিংসের প্রথম ভাগেও মনে হয়নি। রোহিত শর্মা যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল আজ বুঝি ভারত ৪০০ করে তবেই থামবে।পাঁচ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ৬১। তবে রোহিত বেশিক্ষণ টেকেননি। ২৪ বলে ৪০ করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। পাওয়ারপ্লের পর শুভমান গিলও।
এরপরের গল্পটা কেবলই কোহলির। উইকেট ক্রমেই ধীরগতির হয়ে আসছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন কোহলি। ওপর থেকে বার্তা গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত ব্যাট করো। কোহলি করলেন ঠিক তাই। ১১৯ বলে সেঞ্চুরি করলেন। শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডটাতে ভাগ বসান তিনি।
সঙ্গ পেলেন শ্রেয়াশ আইয়ারের, তিনি করলেন ৮৭ বলে ৭৭। শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদবের ১৪ বলে ২২ আর রবীন্দ্র জাদেজার ১৫ বলে ২৯ রানের দুটো ইনিংসে ভর করে ভারত পেয়ে যায় ৩২৬ রানের পুঁজি।
জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেয় ভারত। দ্বিতীয় ওভারে ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কককে বিদায় করেন মোহাম্মদ সিরাজ। সপ্তম ওভারে আক্রমণে আসা রবীন্দ্র জাদেজা তুলে নেন টেম্বা বাভুমাকে।
মোহাম্মদ শামি তার ফর্মটা ধরে রাখলেন এ ম্যাচেও। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফেরালেন এইডেন মার্করামকে। ম্যাচটা কার্যত শেষ তখনই। শেষমেশ হয়েছেও তাই। পাওয়ারপ্লের দুই ওভার পর হাইনরিখ ক্লাসেনকে তুলে নেন জাদেজা। এরপর শামি ফেরান রাসি ফন ডার ডুসেনকে। ডেভিড মিলার আর কেশভ মহারাজকে বিদায়ের পথ দেখান ওই জাদেজাই।
শেষমেশ জাদেজা থেমেছেন ৫ উইকেট নিয়ে। কুলদ্বীপ নিয়েছেন দুটো। আর তাতেই ভারত পেয়ে যায় ২৪৩ রানের বিশাল জয়। বিশ্বকাপে টানা অষ্টম জয় রোহিত শর্মার দলকে এনে দিয়েছে টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকার নিশ্চয়তাও। কোহলিকে জন্মদিনের উপহারটা তাহলে দারুণভাবেই দিলো ভারত।
