দেশে ফিরে শান্ত বললেন, ‘দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন’  

দেশে ফিরে শান্ত বললেন, ‘দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন’  

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন কোনটি? তর্কসাপেক্ষে অনেকগুলো উত্তর আসতে পারে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সেমিতে পৌঁছানো, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৫-১৬ সালে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জয়। তবে এই সবগুলোই তো সাদা বলের ফরম্যাটের সাফল্য। ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানজনক ফরম্যাট টেস্টকে টেনে আনলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২-০ ব্যবধানের এই সিরিজ জয়টি নিশ্চিতভাবেই থাকবে দেশের ক্রিকেটের সেরা অর্জনগুলোর একটি। ঐতিহাসিক এই টেস্টের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেই এমনটাই বললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। পরে তো সুনির্দিষ্ট করে বলে দিলেন, তার মতে এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের এটি সবচেয়ে বড় অর্জন। 

পাকিস্তানের এবারের সফরে যাওয়ার আগে তাদের বিপক্ষে ১৩টি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ, সেখানে তারা হেরেছিল ১২টিতেই। অর্জনের খাতায় তাই ছিল শুধু একটি ড্র, যদিও সেটিকে আপেক্ষিক অর্জনই বলাই শ্রেয়। তবে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ, যা দলটির বিপক্ষে শান্তদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়। পরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ৬ উইকেটে জিতে যায় সফরকারীরা। এবং প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। 

ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয় শান্তর কাছে একটি বাড়তিই স্পেশাল। কেননা নেতৃত্বের ক্যারিয়ারে ৬ টেস্টের মধ্যেই ৩টিই জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি। যার মধ্যে এবার থাকল সিরিজ জয়ের কীর্তি। তাই তো এমন কিছুকে রাখলেন অর্জনের খাতার শীর্ষে। 

সফর শেষে গত রাতে দুই ধাপে ঢাকায় পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। সেখানে শান্ত-মিরাজদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বিসিবি কর্তারা। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শান্ত বলেন, ‘বেস্ট… বেস্ট… আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় অর্জন এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের। এটা শুধু আমার একার ব্যক্তিগত কথা নয়, দলের সবাই এটা বিশ্বাস করে।’

এদিকে দেশে ফিরে খুব একটা বিশ্রাম পাচ্ছেন না শান্ত-তাসকিনরা। কেননা চলতি মাসেই তাদের ভারত সফর। যার ক্যাম্প শুরু হয়ে যাবে ৮ সেপ্টেম্বর। ভারতের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়বেন ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিরিজের প্রথম টেস্ট চেন্নাইয়ে শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ভারত সফরে স্বাভাবিকভাবেই শান্তরা থাকবেন বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে আসন্ন সিরিজটা মোটেও সহজ হবে না বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘এরকম জয়ের পর তো অবশ্যই আত্মবিশ্বাস প্রত্যেকেরই বেশি থাকবে এবং দলের মধ্যে বিশ্বাস ওপরের দিকে থাকবে। ভারত সিরিজ কঠিন একটা সিরিজ হবে। নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের যা অবস্থা এখন, নিজেদের সেরাটা খেললে অবশ্যই ভালো খেলা সম্ভব।’ 

সম্পর্কিত খবর