ভারত সফরে থাকছেন এবাদত
না, এখনো ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই জানা গেল ভারত সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকছেন এবাদত হোসেন। ফিজিও, ট্রেনারের নজরে থাকতেই তাকে রাখা হবে জাতীয় দলের আসন্ন এই সফরে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সময় আম্পায়ারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পিচের ওপর পড়ে যান এবাদত। শুরুতে চোটের অবস্থা এতদূর গড়াবে তা নিয়ে কোনো আঁচই পাওয়া যায়নি। তবে সিটি স্ক্যানের পর ধরা পড়ে তার এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে) ছিঁড়ে গেছে। এবং এই চোট থেকে সেরে উঠতে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন বছরখানেক সময়। গত বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডে তার বা হাঁটুতে অস্ত্রোপচার সম্পন্নের পর এখন চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তবে ভারত সফর দিয়েই জাতীয় দলের ফেরার ইচ্ছা পোষণ করেন এবাদত।
এ নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে মিরপুরে অনুশীলনের পর এক সাক্ষাৎকারে এবাদত বলেছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য আছে যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটা চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। ওখানে খেলার সুযোগ থাকলে নিজের ফিটনেসটা বুঝতে পারব। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য কতটুকু ফিট, বুঝতে পারব। দেখা যাক।’
তবে এখনো ফিজিও তাকে পুরো ১০০% সামর্থ্য দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেয়নি। এতে তার মাঠের ফিরতে সময় লাগবে আরও কিছুটা।
নিজের চোটের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে আজ (শুক্রবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এবাদত বলেন, ‘আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছেন, সেটা ফলো করছি। এখনো ১০০% সামর্থ্য দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেয়নি। আমি ৭০-৮০%, এ রকম কাছাকাছি সামর্থ্যে কাজ করছি।’
এরপরই এবাদত টানেন ভারত সফরে দলের সঙ্গেই থাকা নিয়ে প্রসঙ্গ। ‘আমাকে হয়তো ভারত সফরে দলের সঙ্গে নেওয়া হবে। সেখানে বোলিং সাপোর্টটা পাব, ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার…সব সাপোর্ট পাব। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।’
চলতি মাসেই তাদের ভারত সফর। যার ক্যাম্প শুরু হয়ে যাবে ৮ সেপ্টেম্বর। ভারতের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়বেন ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিরিজের প্রথম টেস্ট চেন্নাইয়ে শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।