জাতীয় সঙ্গীত গাইতে আপত্তি জানালেন ইংল্যান্ড কোচ
কিছু দিন আগে ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হয়ে এসেছেন লি কার্সলি। তবে তার প্রথম ম্যাচের আগে তিনি জন্ম দিয়েছেন এক বিতর্কের। সাফ বলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারবেন না তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। এরপর কোচ ছিলেন ইংল্যান্ড অ-২১ দলের। তিনি দাবি করেছেন, এই দুই দলের হয়েও কখনো জাতীয় সঙ্গীত গাননি তিনি।
৫০ বছর বয়সী এই কোচের অভিষেক হচ্ছে আজ। সেটাও তার দেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগেই বোমা ফাটালেন কার্সলি। জানালেন জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না। তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটা বিষয় যা নিয়ে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলার সময়ও ভুগতে হয়েছে আমাকে।’
কেন গাইবেন না, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘ওয়ার্ম আপ আর মাঠে আসার মধ্যে যে সময়টা, তার মধ্যে দেরি হয় জাতীয় সঙ্গীতের কারণে। এ কারণে এটা আমি কখনো করিনি।’
যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়, তখন কার্সলির মগজে ঘোরে অন্য সব বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় খেলায় মনোযোগ দেই, মাঠে আমার প্রথম কাজটা কী হবে তা নিয়ে ভাবি। তখন আমি আবিষ্কার করলাম যে, আমার মন যেন অন্য দিকে ছোটাছুটি না করে সে বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি।’
এরপর একই পরিস্থিতি তার কোচিং ক্যারিয়ারেও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ২১ দলে যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হতো, আমি তখন আবারও সে পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করতাম।’
জাতীয় সঙ্গীত আজও গাওয়া হবে, তখন তিনি কী করবেন, কার্সলি তা জানিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবব কীভাবে প্রতিপক্ষ তাদের ছক সাজাবে, আমাদের ম্যাচে প্রথম কাজগুলো কী হবে, তা নিয়ে ভাবব।’
তবে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়ে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল কার্সলি। তিনি বলেন, ‘আমি দুই দলের জাতীয় সঙ্গীতকেই সম্মান জানাই। দুই দেশের কাছে এটা কেমন অর্থ বহন করে তাও বুঝি। এ বিষয়টার প্রতিও আমার সম্মানের কমতি নেই।’